কীসের ভিত্তিতে মূল্যায়ন? উচ্চ মাধ্যমিকে তোষণের অভিযোগ তুলে তোপ দিলীপ ঘোষের

উচ্চ মাধ্যমিক নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। গত কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত জেলায় জেলায় পড়ুয়াদের বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। অকৃতকার্য হওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন জায়গায় পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। এই অবস্থায় শনিবার সল্টলেকে অবস্থিত উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অফিসের সামনেও পথ অবরোধ করতে দেখা গিয়েছিল পড়ুয়াদের। শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে। এই বিষয়েই এবার মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মূল্যায়ন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন দিলীপবাবু। এক নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের তোষণের অভিযোগও তোলেন। তাঁর মতে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে।

এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যেখানে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হল না, সেখানে মূল্যায়ন ঠিক কিসের ভিত্তিতে হয়ছে তা আমার সঠিক ভাবে জানা নেই। আমার মনে হয় বিষয় নিয়ে অনিয়ম হয়েছে। একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মেয়েকে তুলে ধরার লক্ষ্যে হয়তো এই ধরনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে খুশি করতেই সরকারি আমলা ফলাফল ঘোষণার সময় প্রথম পড়ুয়ার ধর্মের উল্লেখ করেছেন। যেখানে পরীক্ষাই অনুষ্ঠিত হল না, সেই ক্ষেত্রে গ্রেডেশনটা হল কীভাবে?’

উল্লেখ্য, করোনা আবহে এবছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক কোনও পরীক্ষায় হয়নি রাজ্যে। স্কুলের পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে প্রকাশিত হয়েছে এ বছরের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের ফল। যেখানে মাধ্যমিকে এই প্রথমবার ইতিহাস গড়ে পাশ করেছে ১০০ শতাংশ পড়ুয়া। সেখানে উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করেছে ২.৩১ শতাংশ পড়ুয়া। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। অনেক ক্ষেত্রেই ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, যে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের কথা বলা হচ্ছে, সেখানেই স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের কম নম্বর দিয়েছে। এমনকী, স্কুলের তরফে তাদের প্রজেক্ট রিপোর্ট জমা না দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে বহু ক্ষেত্রে।

এদিকে সংসদের তরফে জানানো হয়, এবছর বেশ কয়েকটি স্কুল তড়িঘড়ি করে ছাত্রছাত্রীদের একাদশ শ্রেণির ফল সংসদে জমা দিয়েছে। এর ফলে ফলাফল ত্রুটিপূর্ণ ছিল। অনেক স্কুল আবার মাত্রাতিরিক্ত নম্বর দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ রেজাল্ট পাঠিয়েছে। সেই সব বিদ্যালয়ের নম্বর চাইলে আটকানো যেত, কিন্তু সামগ্রিক ছাত্রছাত্রীদের প্রতি সুবিচার করতে যথাযথ মূল্যায়ন করে সেই অনুযায়ী ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.