Entally Incident: আর জি কর আবহে ফের সিভিকের দৌরাত্ম্য! মহিলার বাড়িতে ঢুকে…

আর জি কর আবহে ফের সিভিক ভলান্টিয়ারের দৌরাত্ম্য। ফের গ্রেফতার সিভিক ভলান্টিয়ার। শ্লীলতাহানির অভিযোগ গ্রেফতার সিভিক। ঘটনাটি ঘটেছে এন্টালিতে। অভিযোগ মত্ত অবস্থায় প্রতিবেশীর বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালায় সেই সিভিক ভলান্টিয়ার। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম সন্তোষলাল প্রসাদ। এন্টালি থানায় অভিযোগ জানানোর পরেই গ্রেফতার হন সেই সিভিক। কিন্তু তারপরেই জামিন পেয়ে যায় সন্তোষলাল। আর জি কর আবহে ফের চাঞ্চল্য ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক। 

পাড়ার প্রতিবেশীদের মতে, ‘সন্তোষলাল প্রসাদ ও তো সিভিক ভলান্টিয়ার। এন্টালি থানায় কাজ করে শুনেছি। আগেও এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। কারোর জানালা দিয়ে হাত ঢোকায় ঘরের ভেতর। সব সময় মদ্যপ অবস্থায় থাকে। আড্ডাখানা বানিয়ে রেখেছে। কিন্তু কি করে ও জামিন পেলো..! এবার তো আবারো অন্য কোনো মহিলার সঙ্গে এই ধরণের কাজ করতে পারে।’ অপর এক প্রতিবেশী জানান, সন্তোষ তৃণমূল করে। কারোর কারোর মতে, ২০১৮ -১৯ সাল থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করছে। লক ডাউনেও এই ধরণের কাজ করেছে সে। পুলিস লেখা বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়াত।  যেন আর জি করের সিভিক সঞ্জয় রায়ের ছায়া ফের দেখা যাচ্ছে এন্টালিতে।  

অভিযোগকারিণীর মা জানান, ‘আমার স্বামী পেপার দেওয়ার কাজ করে। শনিবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ আমার স্বামী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। ঘরের দরজা হালকা করে ভেজানো ছিলো। আচমকা আওয়াজ শুনতে পাই। দেখি ঘরের মধ্যে মদ্যপ অবস্থায় সন্তোষ দাঁড়িয়ে রয়েছে।’ অভিযোগকারিণীর মায়ের আরও অভিযোগ, ‘মা, মেয়ে আমরা দুজনেই খাটে শুয়ে ছিলাম। মেয়ের দিকে যে ভাবে সন্তোষ তাকিয়ে ছিলো তাতে বড়ো কোনো ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। তবে ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত আমরা সকলে।’ 

যদিও পাল্টা ছেলেকে ফাঁসানোর অভিযোগ করেছেন সন্তোষের মা অভিযুক্তর মা…. আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। ও এই ধরণের কাজ করতে পারেনা। ও বাথরুমে গিয়েছিলো। কেনো কারোর ঘরে ঢুকতে যাবে। আমার ছেলে মদ খায় না। সেই দিনকে একটু খেয়েছিলো। গোটা বস্তির লক ওকে ফাঁসিয়েছে।’ 

এখনও পর্যন্ত অভয়া বিচার পায়নি। বিচারের অপেক্ষায় ৯০ দিন অতিক্রান্ত। এরই মধ্যে বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে শ্লীলতাহানি থেকে ছোট্ট নাবালিকে ধর্ষণের মতন খবর এসেছে। এবং ঠিক এই মত পরিস্থিতিতে ফের শ্লীলতাহানি কাণ্ডে জড়িয়ে পরল আরও এক সিভিক। গ্রেফতারি হওয়ার পরেও আদালত থেকে জামিন পেলেন সন্তোষ। একের পর এক ঘটনায় বাংলা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.