লর্ডসে দ্বিতীয় দিনও দেখা গেল প্রথম দিনের ছবি। ব্যাটে-বলে দাপট দেখাল ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসের পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ব্যাটারেরা। ফলে জেমস অ্যান্ডারসনের বিদায়ী টেস্টে দ্বিতীয় দিনেই জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করেছে ইংল্যান্ড। দিনের শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের রান ৬ উইকেটে ৭৯। অ্যান্ডারসন, অ্যাটকিনসন ও স্টোকস ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। এখনও ১৭১ রানে পিছিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। তার মধ্যে বাকি ৪ উইকেট ফেলতে পারলেই জিতে যাবে ইংল্যান্ড।
প্রথম দিনই খেলার ফল নিশ্চিত করে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২১ রানে অল আউট করে দিয়েছিল তারা। গাস অ্যাটকিনসন একাই নেন ৭টি উইকেট। বিদায়ী টেস্ট খেলতে নামা অ্যান্ডারসনও ১টি উইকেট নেন। জবাবে প্রথম দিনের শেষে ৩ উইকেটে ১৮৯ রান ছিল ইংল্যান্ডের। অর্ধশতরান করেন জ্যাক ক্রলি ও ওলি পোপ।
৬৮ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। জো রুট কিছুটা ধীরে খেললেও হ্যারি ব্রুক দ্রুত রান করছিলেন। দু’জনের মধ্যে ৯১ রানের জুটি হয়। অর্ধশতরান করেন দুই ব্যাটার। ৬৪ বলে ৫০ রান করে আউট হন ব্রুক। অধিনায়ক বেন স্টোকস রান পাননি। গুড়াকেশ মোতির বলে ৪ রান করে বোল্ড হন তিনি।
ষষ্ঠ উইকেটে রুটের সঙ্গে জুটি বাঁধেন উইকেটরক্ষক জেমি স্মিথ। রুট ৬৮ রান করে আউট হন। ফলে ইংল্যান্ডের দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব গিয়ে পড়ে জেমির কাঁধে। তাঁকে সঙ্গ দেন ক্রিস ওকস। ২৩ রান করেন তিনি। শেষ দিকে পর পর উইকেট পড়ায় সঙ্গী পাননি জেমি। তিনিও অর্ধশতরান করেন। দ্রুত রান করার চেষ্টায় ৭০ রান করে আউট হন জেমি। তিনি আউট হওয়ার সঙ্গেই ৩৭১ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস।
খেলার যা পরিস্থিতি তাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ ইংল্যান্ডের না-ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে নিজের শেষ ইনিংসে রান পেলেন না অ্যান্ডারসন। ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন তিনি। কিন্তু একটি বলও খেলেননি। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে নিজের কাজ করেন অ্যান্ডারসন।
প্রথম ইনিংসে ২৫০ রানের লিড নেয় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই উইকেট পড়তে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের। দ্বিতীয় ইনিংসেও দলের টপ ও মিডল অর্ডার রান পায়নি। অধিনায়ক ব্রেথওয়েট ৪ রানে আউট হন। প্রথম পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করেন অ্যালিক আথানেজ়। তিনিও ২২ রানের বেশি করতে পারেননি।
বোলিংয়ে আবার শৃঙ্খলার পরিচয় দেয় ইংল্যান্ড। বিদায়ী টেস্টেও এক প্রান্ত ধরে লম্বা স্পেল করেন অ্যান্ডারসন। একই জায়গায় বল রাখছিলেন তিনি। হাত খোলার সুযোগ দিচ্ছিলেন না। উইকেটও নিচ্ছিলেন। অন্য প্রান্ত থেকে উইকেট নেন স্টোকসও। ইংল্যান্ডের পেসারদের দাপটে একটা সময় মনে হচ্ছিল, দ্বিতীয় দিনই হয়তো শেষ হয়ে যাবে টেস্ট।
ষষ্ঠ উইকেটে জোশুয়া ডি সিলভা ও জেসন হোল্ডার জুটি বাঁধেন। কোনও রকমে দিনের খেলা পার করার চেষ্টা করেন তাঁরা। দিনের শেষ ওভারে আউট হন হোল্ডার। যে ভাবে ইংল্যান্ড বল করছে তাতে মেঘলা আবহাওয়ায় তৃতীয় দিনের সকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বাকি ব্যাটারের কত ক্ষণ টিকতে পারেন সেটাই দেখার।