খনিতে ধস নেমে ভয়াবহ দুর্ঘটনা মায়ানমারে। মৃত্যু ঘটেছে কমপক্ষে ৩২ জনের। ঘটনাটা সোমবার ঘটলেও বুধবার পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলেছে। উদ্ধারকারী দলের অনুমান, এখনও ধ্বংসাবশেষের নীচে অনেকে আটকে আছেন। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা।
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত চলছে মায়ানমারে। এর জেরে রবিবার উত্তর মায়ানমারের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই খনিতে ধস নামে। সেই সময়ে খনিটির ভিতরে কাজ করছিলেন খনিকর্মীরা। আচমকা ধস নামায় ঘটনাস্থলেই অনেকের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চালিয়ে ২৫ জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। বুধবার সকালে আরও ৫ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার দুপুর ৩টে নাগাদ খনির ভিতর কাজ করতে নামেন কর্মীরা। তার আধঘণ্টা পরই সাড়ে ৩টে নাগাদ খনিতে ধস নামে। সেই সময় ওই খনিতে কর্মরত অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই পুরুষকর্মী ছিলেন। এভাবে একসঙ্গে ৩২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন খনির কর্মীরা।
উত্তর মায়ানমারের জেড অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ। ব্যবসাবাণিজ্যের দিক থেকেও এই অঞ্চল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মায়ানমার বিশ্বের ৭০ শতাংশ জেড পাথরের খনি-অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃত। মায়ানমারের পাকান্ত হল বিশ্বের সব থেকে বড় জেড খনি।
এর আগে ২০২০ সালে ওই একই এলাকায় একটি খনিতে ভয়াবহ ধস নেমেছিল। সেবার ১৬২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার আগে ২০১৫ সালের নভেম্বরেও আরেকটি খনিতে ধস নামার ঘটনা ঘটেছিল। ১১৩ জনের মৃত্যু ঘটেছিল সেবারে।