জার্মানি, স্পেনের মতো জয় দিয়ে ইউরো কাপ শুরু করল ট্রফির দাবিদার ইংল্যান্ডও। রবিবার জুড বেলিংহ্যামের একমাত্র গোলে সার্বিয়াকে ১-০ হারাল তারা। তিন পয়েন্ট ঘরে এলেও ইংল্যান্ডকে চিন্তায় রাখবে গোল নষ্টের প্রবণতা। গোটা ম্যাচে হ্যারি কেনরা একাধিক সুযোগ নষ্ট করেছেন। পাশাপাশি, সার্বিয়াকেও অনেক বার গোল করার সুযোগ দিয়েছেন।
ইংল্যান্ড প্রথম থেকেই বল পায়ে রেখেছিল। বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিলেন ইংরেজ খেলোয়াড়েরা। সার্বিয়া তখনও নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারেনি। তার আগে গোল পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। ডান দিক থেকে আক্রমণে উঠেছিলেন বুকায়ো সাকা। তাঁর ক্রস সার্বিয়ার এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে কিছুটা উঠে যায়। সামনে থাকা হ্যারি কেন সেই বলে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। কিন্তু পিছন থেকে কার্যত উড়ে এসে গোলার মতো হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন বেলিংহ্যাম।
এ বছর রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে নজর কেড়েছেন বেলিংহ্যাম। রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। এ বারের ইউরোয় ইংল্যান্ডের প্রথম গোলও এল তাঁর মাথা থেকেই। নিখুঁত পজিশনে থাকার কারণেই গোল করেন তিনি।
গোল পেলেও ইংল্যান্ডের খেলা ছন্নছাড়া হয়ে যায়। মাঝমাঠ দখল নেওয়ার চেষ্টা করছিল তারা। তবে একের পর এক মিস্ পাসে কার্যসিদ্ধি হচ্ছিল না। সেই সুযোগ নিতে থাকে সার্বিয়া। একাধিক বার আক্রমণে উঠে আসে তারা। সুযোগ ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলে প্রথমার্ধেই সমতা ফেরাতে পারত তারা। সার্বিয়ার আক্রমণ হচ্ছিল মূলত উইং দিয়ে। গোল করার দায়িত্ব ছিল আলেকজ়ান্ডার মিত্রোভিচের উপরে। তিনি বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে ইংল্যান্ডকে স্বস্তিতে রাখেনি সার্বিয়া। বার বার ইংরেজ রক্ষণ ভেঙে ঢুকে পড়তে থাকে তারা। ইংল্যান্ড ফুটবলারদের মধ্যেও পরিকল্পনার অভাব দেখা যাচ্ছিল। গত বার তাদের খেলায় যে জমাট ভাব ছিল তা এ দিন দেখা যায়নি। ৫৯ মিনিটে পেনাল্টির আবেদন করে সার্বিয়া। একটি আক্রমণের সময় মিত্রোভিচকে বক্সের মধ্যে পিছন থেকে ধাক্কা মেরেছিলেন কিয়েরান ট্রিপিয়ার। তবে রেফারি সার্বিয়ার আবেদনে কর্ণপাত করেননি। ভার-এর হস্তক্ষেপও দেখা যায়নি।
তবু দু’দলের কাছেই গোল করার সুযোগ এসেছিল। ৭৮ মিনিটের মাথায় জেরড বাওয়েনের ক্রস থেকে জোরে হেড করেছিলেন হ্যারি কেন। কোনও মতে সেই বলে হাত ঠেকান সার্বিয়ার গোলকিপার প্রেডাগ রাজকোভিচ। বল বারে লেগে ফেরত আসে। ৮৩ মিনিটের মাথায় গোল হজম করা থেকে বেঁচে যায় ইংল্যান্ডও। দুসান ভ্লাহোভিচের শট কোনও মতে হাত ঠেকিয়ে বাঁচান জর্ডান পিকফোর্ড।