মসনদ বাঁচাতে গিয়ে নেপালকে বিপাকে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। চিনের (China) সুরে সুর মিলিয়ে ভারত বিরোধিতা করার জের এবার হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে কাঠমান্ডু। প্রতিবেশী দেশটিতে নুনের দাম বাড়তে বাড়তে কেজিতে হয়েছে ১০০ টাকা। আবার এক লিটার সরষের তেলের দাম হয়েছে ২৫০ টাকা।
সম্প্রতি ভারতের লিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরাকে নিজেদের বলে দাবি করে নয়া মানচিত্র প্রকাশ করেছে নেপাল (Nepal)। ভারতের সঙ্গে ‘রুটি-বেটি’র সম্পর্ক উপেক্ষা করে নির্দেশিকা জারি করে সে দেশের নাগরিকদের ভারতে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নেপাল সরকার। একই সঙ্গে ভারতীয় নাগরিকদের নেপালে প্রবেশেও রাশ টেনেছে কাঠমান্ডু। ফলে ভারত-নেপাল সীমান্তে শিকেয় উঠেছে বাণিজ্য। শুধু তাই নয়, সীমান্ত সিল হওয়ায় নেপালে খাদ্যসামগ্রীর দাম এখন আকাশছোঁয়া। নুনের দাম বাড়তে বাড়তে কেজিতে হয়েছে ১০০ টাকা। আবার এক লিটার সরষের তেলের দাম হয়েছে ২৫০ টাকা। বলে রাখা ভাল, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জন্য অনেকাংশেই ভারতের উপর নির্ভরশীল নেপাল। তবে নেপাল সরকারের সিদ্ধান্তে ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উত্তরাখণ্ডের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাণিজ্য ধাক্কা খেয়েছে।
উল্লেখ্য, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নেপাল এবং ভারতের (India) মধ্যে প্রায় ৪.২১ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়। অর্থাত্ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩১ হাজার ৭৮২ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা। সেইসঙ্গে অঘোষিত বাণিজ্যের পরিমাণ ঘোষিত এই বাণিজ্যের প্রায় ১০ গুণ। এদিকে, নেপাল সরকার সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ মধেশি সম্প্রদায়। নেপালের দক্ষিণভাগে ও বিহারের উত্তরাংশের সমতলে বসবাসকারী লোকজনকে মধেশি বলা হয়। ‘মধেশ’ শব্দটি মধ্যদেশ শব্দের অপভ্রংশ রূপ। ‘মধেশ’ থেকেই ‘মধেশী’ শব্দটির উৎপত্তি। সব মিলিয়ে ভারত বিরোধিতার ফল হাতেনাতে পাচ্ছেন ওলি।