ফুটবলপাগল কলকাতা (Kolkata) ফের দেখতে চলেছে আরেক বিশ্বকাপ জয়ীকে। পেলে (Pele), মারাদোনার (Maradona) মতো কিংবদন্তিদের একাধিকবার পা পড়েছে এই শহরে। এমনকী আর্জেন্টিনার অধিনায়ক হিসেবে লিওনেল মেসি (Lionel Messi) প্রথম ম্যাচ খেলেছেন খোদ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনেই! এই শহরের সোনালী ফুটবল ইতিহাসে এবার জুড়তে চলেছে আরও একটি পাতা। মেসির আদরের ‘দিবু’ ওরফে বিশ্বকাপ জয়ী নক্ষত্র গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (Emiliano Martinez) এবার আসছেন কলকাতায়। স্পোর্টস প্রমোটার শতদ্রু দত্তের (Satadru Dutta) সৌজন্যে এমিকে কলকাতায় আনছে গঙ্গাপাড়ের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব মোহনবাগান (Mohun Bagan)। বাগান সচিব দেবাশিস দত্ত (Debashis Dutta) প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন যে, আগামী ৪ জুলাই এমি আসছেন মোহনবাগান তাঁবুতে। তবে কাতারে সোনার দস্তানা জয়ী অ্যাস্টন ভিলার (Aston Villa) এক নম্বর গোলকিপার শুধুই মোহনবাগানে পা দেবেন না। একাধিক কর্মসূচি দিয়েই তাঁর দু’দিনের কলকাতা সফরসূচি সাজানো হয়েছে। গত নভেম্বরেই শতদ্রুর সৌজন্যে কলকাতায় এসেছিলেন দু’বারের বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিলিয়ান কাফু (Cafu)। দেখতে গেলে কয়েক মাসের ব্য়বধানেই ফের এক আন্তর্জাতিক তারকা ফুটবলারকে দেখতে চলেছে কলকাতা
এমি কোথায় যাবেন, কী করবেন, কাদের সঙ্গে সারবেন সাক্ষাৎ? আপাতত জানা যাচ্ছে যে বাগান তাঁবুতে সময় কাটানো বাদ দিয়েও এমির বিবিধ পরিকল্পনা রয়েছে। বিধায়ক তথা দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর ক্লাব শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ে যাবেন এমি। সেখানে মারাদোনার মূর্তিতে মাল্যদান করবেন তিনি। অল বেঙ্গল টাই ব্রেকার কনটেস্টের ফাইনাল দেখবেন এমি। এছাড়াও সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে যাবেন এমি। সেখানে কচিকাঁচাদের সঙ্গে ‘মাস্টার ক্লাস সিজিন উইথ কিডস’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। জানা যাচ্ছে এমির চ্যারিটি করা ও বাচ্চাদের সঙ্গে ফুটবল ক্লিনিক করার কথাও রয়েছে। এছাড়াও রাজ্যের দুই হেভিওয়েটের সঙ্গেও এমির দেখা করার কথা রয়েছে। একজন রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যজন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতেছে । ১৯৭৮, ১৯৮৬-র পর ২০২২। ‘লা আলবিসেলেস্তে’দের জার্সিতে জুড়েছে তিনটি তারা। মেসির ভুবনজয়ী দলের অন্যতম যোদ্ধা ছিলেন এমি। কাতারে অসাধারণ সব সেভ করে আর্জেন্টিনায় নায়কের হাতে উঠেছিল গোল্ডেন গ্লাভস। মার্টিনেজ বিশ্বকাপ জিতেও কিন্তু বিস্তর বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন। আর্জেন্টিনাকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার নেপথ্যে মেসির চেয়ে কোনও অংশে কম ভূমিকা নেই এমির। টুর্নামেন্টের সেরা গোলকিপার হওয়ার জন্যই তাঁর হাতে উঠেছিল গোল্ডেন গ্লাভস। দুরন্ত মেজাজে অবধারিত সব গোল রুখে, ট্যাঙ্গো নাচ করে গ্যালারি মাতিয়েছেন তিনি। সেই এমি তীব্র বিতর্কে জড়ান ফাইনালের পর পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে। তিনি গোল্ডেন গ্লাভস হাতে নিয়ে অত্যন্ত অশালীন ভঙ্গি করেছিলেন ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে! এমি এক রেডিও সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ফরাসিরা আমাকে টিটকিরি দিয়েছিল। তাই আমি ওই অঙ্গভঙ্গি করেছিলাম। আমার কাছে অহংকারের কোনও জায়গা নেই। আমরা অনেক সহ্য করেছি।’ বিশ্বকাপের আগে ও পরে মার্টিনেজ ও কিলিয়াম এমবাপের ডুয়েলও ছিল আলোচনায়।