নির্বাচনী বন্ডের তথ্য প্রকাশ্যে আনতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায় মেতাবেক, রবিবার ইলেকটোরাল বন্ডের সব তথ্য প্রকাশ্যে আনল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। কারা বন্ড কিনেছে, কারা সেই বন্ড ভাঙ্গিয়ে টাকা তুলেছে তার সব তথ্য সামনে আনল কমিশন। দেখা যাচ্ছে বন্জ ভাঙ্গিয়ে টাকা তোলার ব্যাপারে বিজেপির ধারে কাছে নেই অন্য কোনও দল।
কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নির্বাচনী বন্ড থেকে বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে ৬৯৮৬.৫ কোটি টাকা। রাজনৈতিক চাঁদা দেওয়ার জন্য ২০১৮ সালে চালু করা হয়ে ইলেকটোরাল বন্ড। তার পর থেকে ওই বিপুল টাকা পার্টি ফান্ডের জন্য তুলেছে বিজেপি। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ১৩৯৭ কোটি টাকা। কংগ্রেসের ঘরে গিয়েছে ১৩৩৪ কোটি টাকা। তেলঙ্গানার ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি(বিআরএস)পেয়েছে ১৩২২ কোটি টাকা। অন্যদিকে ডিএমকে পেয়েছে ৬৫৬ কোটি টাকা।
এদিকে, চাঁদা তোলার দৌড়ে পিছিয়ে নেই নবীন পট্টনায়কের বিজু জনতা দল নির্বাচনী বন্ডে থেকে পেয়েছে ৯৪৪.৫ কোটি টাকা। অন্ধ্র প্রদেশের শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস পেয়েছে ৪৪২.৮ কোটি টাকা। জনতা দল সেক্যুলার পেয়েছে ৬৮ কোটি টাকা।
কোথা থেকে এসেছে ওই বিপুল টাকা? কমিশনের তথ্য অনুযায়ী ইলেকটোরাল বন্ড বেশি কিনেছে লটারি কিং স্যান্টিয়াগো মার্টিন। ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসের মালিক এই স্যাটিয়াগো মার্টিন। তারা মোট ১৩৬৮ কোটি টাকার বন্ড কিনেছে। ওই বন্ডের আবার ৩৭ শতাংশ গিয়েছে ডিএমকের ঘরে। ডিএমকের আরও এক বড় দাতা হল মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং(১০৫ কোটি), ইন্ডিয়া সিমেন্ট (১৪ কোটি) ও সান টিভি(১০০ কোটি)। ডিএমকে এমন একটি দল যারা তাদের দাতাদের নাম প্রকাশ করেছে। কিন্তু বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেসের মতো দল তাদের ডোনারদের তথ্য প্রকাশ করেনি।
অন্যদিকে, নির্বাচনী বন্ড থেকে টাকা পাওয়ার তালিকায় রয়েছে টিডিপি(১৮১.৩৫ কোটি), শিব সেনা(৬০.৪ কোটি), আরজেডি(৫৬ কোটি), সপা (১৪.০৫ কোটি), অকালি দল (৭.২৬ কোটি)।