নতুন বছর পড়তে না পড়তেই ফের ইডির হানা। উত্তর ২৪ পরগনায় দুই তৃণমূল নেতার বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুক্রবার সকালে ইডির একটি দল প্রথমে উত্তর চব্বিশ পরগনার বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছয়। পরে তাঁর বাড়িতেও হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। একই সময়ে অন্য একটি দল সন্দেশখালির এক তৃণমূল নেতার বাড়ির কাছে পৌঁছে যায়। ওই তৃণমূল নেতার নাম শাহজাহান শেখ বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, শঙ্কর এবং শাহজাহান, দু’জনেই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (বালু)-র ‘ঘনিষ্ঠ’। ইডি সূত্রে খবর, রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলাকে কেন্দ্র করেই ওই দুই জায়গায় হানা দিয়েছে ইডি। উত্তর ২৪ পরগনার দুই তৃণমূল নেতার বাড়ির পাশাপাশি, দক্ষিণ কলকাতার বিজয়গড়ের একটি বহুতলেও হানা দিয়েছে ইডি। সূত্রের খবর, সেখানে এক জন চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টটেন্টের বাড়িতে তল্লাশি চলছে। তবে কোন মামলায় সেই তল্লাশি অভিযান, তা এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল সাতটা নাগাদ বনগাঁর শিমুলতলায় শঙ্করের শ্বশুরবাড়িতে হানা দেয় ইডি। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সেখানে তল্লাশি অভিযান চলছে। পরে তাঁর বাড়িতেও যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সাত জন আধিকারিক। তবে শঙ্কর বাড়ির ভিতরে রয়েছেন কি না, সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি। সূত্রের খবর, বালুর হাত ধরেই রাজনীতির ময়দানে প্রবেশ করেন শঙ্কর। ২০০৫ সালে প্রথম বনগাঁ পুরসভার কাউন্সিলর হন। পরে বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান হন। শঙ্করের স্ত্রী-ও পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন।
অন্য দিকে, সকাল সাতটা নাগাদ সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শাহজাহানের বাড়ির কাছে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল। তবে সেই বাড়ি তালাবন্ধ ছিল। অনেক ক্ষণ ডাকাডাকির পরেও কারও সাড়া না মেলায়, সেই বাড়ির তালা ভাঙার চেষ্টা করেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই সময় বেশ কয়েক জন স্থানীয় ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। ইডি আধিকারিকদের ঘিরে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেও সরব হন তাঁরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে স্থানীয়দের একাংশের বিরুদ্ধে।
ইডি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মনে করছে, রেশন দুর্নীতি মামলায় এই দুই তৃণমূল নেতার যোগ থাকলেও থাকতে পারে। তা খতিয়ে দেখতেই দুই তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডি হানা দিয়েছে বলে সূত্রের খবর।