দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৬.৮। ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ভূমিকম্পের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে গুয়াসে। এটি একটি উপকূলীয় এলাকা। এখান থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে গুয়াকিল শহরে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল।
খবরে বলা হয়েছে, বিভিন্ন বাড়িগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষের চাপা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূমিকম্পটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে পার্শ্ববর্তী দেশ পেরুতেও এর কম্পন অনুভূত হয়। বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, ইকুয়েডরে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পেরুতে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মানুষ ভূমিকম্পের পরের অনেক ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখা গিয়েছে।
রাজধানী কুইটোতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। এখানে মানুষকে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে বিভিন্ন দিকে ছুটে যেতে দেখা গেছে। কম্পনের ফলে গুয়াসের একটি শপিং মলে জিনিস রাখার র্যাকগুলি মাটিতে পড়ে যায়।
ইকুয়েডরের ইমার্জেন্সি রেসপন্স এজেন্সি জানিয়েছে, মাচালা শহরে একটি বাড়ির ছাদ ধসে পড়েছে। এই ঘটনায় শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু হয়। কুয়েনকা শহরে বাড়ির ধ্বংসাবশেষ একটি গাড়ির ওপর পড়ে, এতে চালক নিহত হয়। কম্পন অনুভূত হতেই মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন।
২০১৭ সালে ইরান-ইরাকে আন্তঃসীমান্ত ভূমিকম্প হয়েছিল। ইরাকের কুর্দি শহর হালাবজা থেকে ইরানের কেরমানশাহ প্রদেশ পর্যন্ত কম্পন অনুভূত হয়। এতে ৬৩০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আট হাজারের বেশি মানুষ।
২০২৩ সালের ছয় ফেব্রুয়ারি তুরস্ক-সিরিয়াতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। উভয় দেশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ দেখা যায়। তুরস্কে ৪৪,৩৭৪ জন মারা গিয়েছে। সিরিয়ায় ৫,৯৫১ জন মারা গিয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে তুরস্ক-সিরিয়ায় ৩টি বড় ভূমিকম্প হয়।
বিশ্বে প্রতি বছর ২০,০০০ ভূমিকম্প হয়
পৃথিবীতে প্রতি বছর অনেক ভূমিকম্প হয়, তবে তার তীব্রতা কম। জাতীয় ভূমিকম্প তথ্য কেন্দ্র প্রতি বছর প্রায় ২০,০০০ ভূমিকম্প রেকর্ড করে। এর মধ্যে ১০০টি ভূমিকম্প এমন যে তারা বেশি ক্ষতি করে। ভূমিকম্প কয়েক সেকেন্ড বা কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়। ইতিহাসের দীর্ঘতম দীর্ঘস্থায়ী ভূমিকম্পটি ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে হয়েছিল। এই ভূমিকম্পটি ১০ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল।