‘খোঁচা খাওয়া বাঘেরা এভাবেই ফিরে আসে!’, স্কোরলাইন (২-১) ও দলের খেলোয়াড়দের ছবি দিয়ে এই ক্যাপশনেই ট্যুইট করল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। শুক্রবার সন্ধ্যায় বৃষ্টিস্নাত যুবভারতীতে, সাদা জার্সিতে জ্বলে উঠল মশাল বাহিনী! গোকুলাম কেরালাকে হারিয়ে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে চলে গেল লাল-হলুদ (East Bengal vs Gokulam Kerala)। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শুরু সেলিব্রেশন। দারুণ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। সেই চেনা ‘রেড অ্যান্ড ইয়েলো ব্রিগেড ফিরছে আপন ছন্দে।’ প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকা ইস্টবেঙ্গল দ্বিতীয়ার্ধে গোল হজম করে ফেলেছিল। তবে গোকুলামের আত্মঘাতী গোলই ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে গেল ডুরান্ডের শেষ চারে। আগামী মঙ্গলবার এই যুবভারতীতেই নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে শেষ চারের লড়াইয়ে ইস্টবেঙ্গল।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে টপকে, এ গ্রুপের ফার্স্ট বয় হয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। শেষ আটের অন্যদিকে গ্রুপ সি-র সেরা হয়ে লাল-হলুদের মুখোমুখি হয়েছিল গোকুলাম। এদিন রেফারির বাঁশি বাজার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই যুবভারতীয় গ্যালারিকে সেলিব্রেশনে মাতিয়ে দেন লাল-হলুদের অজি সেন্টার ব্য়াক জর্ডন এলসে। অ্যাডিলেডের ২৯ বছরের বাসিন্দা ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে প্রথম গোলটি করে ফেলেন ম্য়াচের ৩০ সেকেন্ডের মাথায়। নাওরেম মহেশ ছোট্ট কর্নার বক্সের মধ্যে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। মাথা ঠেকিয়ে তেকাঠিতে বল জড়িয়ে দেন এলসে।
প্রথমার্ধে ১-০ এগিয়েই মাঠ ছাড়ে ইস্টবেঙ্গল। বৃষ্টি ভেজা মাঠে দুই দলই বিরতির আগে বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আমিনৌ বৌবা গোকুলামের নায়ক এবং খলনায়ক হয়ে গেলেন কিছু মুহূর্তের ব্য়বধানে। ম্য়াচের ৫৭ মিনিটে তাঁর হেডেই গোকুলাম সমতায় ফিরেছিল। সেই বৌবাই! ম্য়াচের ৭৮ মিনিটে নিশু কুমারের গোলমুখী শট বৌবার গায়ে লেগে ঢুকে যায় গোকুলামের জালে। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি ইস্টবেঙ্গলকে। নির্ধারিত সময়ের পরের যোগ করা ছয় মিনিট পর্যন্ত কুয়াদ্রাতের শিষ্য়রা রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে গেলেন। গোকুলাম চেষ্টা করেও আর ম্য়াচে ফিরতে পারেনি।