আগামী শনিবার কলকাতা ডার্বি। তার আগে কলকাতা লিগে বুধবার নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই ম্যাচে রেলওয়ে এফসি-কে ২-০ গোলে হারাল তারা। গোল করলেন আমন সিকে এবং নিশু কুমার। তবে গোটা ম্যাচে লাল-হলুদ যে পরিমাণ সুযোগ পেয়েছিল, তাতে আরও অনেকগুলি গোল হতে পারত। সুযোগ নষ্ট করায় বড় ব্যবধানে জয়ের সুযোগ হাতছাড়া হল তাদের।
খেলার শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। রেলের গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন বিষ্ণু। গোলকিপার ভাল করে ধরতে পারেননি বলটি। গোললাইন থেকে অভিষেক আইচ ক্লিয়ার করে দেন। দু’মিনিট পরেই রেলের গোলকিপার এবং এক ডিফেন্ডারের ভুল বোঝাপড়ায় গোল পেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। সে যাত্রাতেও বেঁচে যায় রেলওয়ে।
১০ মিনিটে আবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের কাছে। তিন জনকে কাটিয়ে নিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন। কিন্তু তিন কাঠির মধ্যে বল রাখতে পারেননি তিনি। তা লাগে সাইড নেটে। তবে গোল পেতে বেশি ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ইস্টবেঙ্গলকে। ২০ মিনিটেই আসে প্রথম গোল। এত ক্ষণ ধরে আমন বার বার আঘাত হানছিলেন রেলের বক্সে। বাঁ দিক থেকে একাই আক্রমণে উঠে আসেন তিনি। রেলের দুই ডিফেন্ডারকে অনায়াসে কাটানোর পর গোলকিপারকেও কাটিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন।
প্রথমার্ধে আর কোনও গোল করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ম্যাচে দাপট ছিল তাদেরই। রেলের ফুটবলাররা বিপক্ষকে ধরতেই পারছিলেন না। ৩৭ মিনিটে আরও একটি সুযোগ পেয়েছিলেন বিষ্ণু। তাতেও গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একটি খারাপ ট্যাকল করে ইস্টবেঙ্গলের তন্ময় বসু হলুদ কার্ড দেখেন। চাপ বজায় রেখেই দ্বিতীয় গোল তুলে নেয় ইস্টবেঙ্গল। ৬৪ মিনিটে গোল করেন নিশু কুমার। বাঁ দিক থেকে তন্ময় পাস দিয়েছিলেন নিশুকে। বিপক্ষের ডিফেন্ডারদের হেলায় কাটিয়ে গোল করেন নিশু। ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছিলেন তিনি। কিন্তু কলকাতা লিগে খেলতে কোনও বাধা নেই। প্রথম সুযোগেই গোল করলেন বেঙ্গালুরুর প্রাক্তন ডিফেন্ডার।
ম্যাচের সেরা হন আমনই। তবে পুরো ম্যাচে তাঁকে খেলানো হয়নি। ৮১ মিনিটে উঠিয়ে নেন কোচ বিনো জর্জ। কিন্তু গোল করা ছাড়াও একাধিক বার ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ শুরু হয়েছে তাঁর পা থেকেই।