ফের হার। হারতে হারতে একেবারে হারের হ্যাট্রিক করে বসলেন লাল হলুদ দল। ঘরের মাঠে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ২-৩ গোলে হারল তারা। গোয়ার হয়ে জয়ের নায়ক গত মরসুমে লাল-হলুদ জার্সি গায়ে খেলে যাওয়া বোরহা হেরেরা। হারের হ্যাট্রিক করার পর ক্ষোভে ফেটে পড়লেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। সমর্থকদের কাছে ‘গো ব্যাক’ শুনতে হল কোচ কার্সেল কুয়াদ্রাতকে। এমনকি বোরহা হেরেরার নামে জয়ধ্বনিও দিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।
খেলার প্রথম থেকেই ইস্টবেঙ্গলকে চাপে রেখেছিল এফসি গোয়া। এত বাজে ডিফেন্ড হয়তো আশা করেননি সমর্থকরা। ভুল রক্ষণের জন্য মাত্র ১৩ মিনিটেই গোল খেয়ে বসে ইস্টবেঙ্গল। দুই ডিফেন্ডারকে টপকে বক্সে ঢোকেন দেজান দ্রাজিচ। তাঁর শট লাল-হলুদ গোলরক্ষক দেবজিৎ কোনও রকমে বাঁচালেও ফিরতি বলে গোল করেন বোরহা। ২১ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোল বোরহার। সেই গোল দেখলে মনে হবে যেন গোয়াকে সেই গোল উপহার দিলেন ইস্টবেঙ্গল। বল ছিল ইস্টবেঙ্গলের বিদেশি ডিফেন্ডার হিজাজি মাহেরের পায়ে। তাঁর পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে গোলের বক্সের দিকে বোরহার পায়ে ঠেলে দেন দেজান দ্রাজিচ। সেই মুহূর্তে বোরহাকে ঘিরে কোনও ডিফেন্ডার ছিলেন না। ফলে বাঁ পায়ে বল জালে জড়ান স্পেনের ফুটবলার। ২৮ মিনিটে গোয়ার বক্সের মধ্যে মাদিহ তালালকে বাজেভাবে ট্যাকল করা হয়েছিল। সেইসময় ইস্টবেঙ্গল পেনাল্টি পায়। সেইসময় লাল-হলুদ ব্রিগেডের সম্মান কিছুটা হলেও পুনরুদ্ধার করেন তালাল। ২-১ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় গোয়া।
কিন্তু প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও আক্রমণ বেশি শুরু করল গোয়া। ৭১ মিনিটে হ্যাটট্রিক গোল করলেন বোরহা। তিন গোল খাওয়ার পরে যুবভারতীর গ্যালারিতে ‘কুয়াদ্রাত গো ব্যাক’ স্লোগানের পর বেশ চাপে দেখা গেল লাল-হলুদ কোচকে। ৮১ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে কার্ল ম্যাকহিউ মাঠ ছাড়েন। ইস্টবেঙ্গলের বেশির ভাগ ফুটবলারকে দেখে মনে হচ্ছিল ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। ৮৫ মিনিটে ফের কামব্যাকের চেষ্টা করে ইস্টবেঙ্গল। আনোয়ার আলির লম্বা শট প্রতিহত করেন গোয়ার গোলরক্ষক কাট্টিমানি। রেগুলেশন টাইমের পর আরও পাঁচ মিনিট সংযুক্তি সময় দেওয়া হয়। কিন্তু, শেষপর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল আর কামব্যাক করতে পারেনি। লাল-হলুদ দলে এই ম্যাচে প্রথম খেলতে নেমে দেবজিৎ মজুমদার বেশ কয়েকটি বল বাঁচালেও হিজাজি, হেক্টর ইয়ুস্তে, আনোয়ার আলিদের ছন্নছাড়া ফুটবলের খেসারত দিতে হল ইস্টবেঙ্গলকে।