চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে খেলা। তার উপর বিপক্ষের সমর্থকেরা নিজেদের দলের উপরেই ক্ষুব্ধ। স্বাভাবিক ভাবেই ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকেরা এই সুযোগ হারাতে চাননি। আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে গ্যালারিতে কটাক্ষ করে পোস্টার ঝোলালেন তাঁরা। অন্য দিকে, নিজেদের দল শিল্ড জিতলেও প্রতিবাদী মনোভাব থেকে সরে এলেন না মোহনবাগান সমর্থকেরা।
শনিবার যুবভারতীতে খেলা শুরুর আগেই একটি ব্যানার ঝোলানো হয়। তাতে ছন্দ মিলিয়ে লেখা ছিল দু’টি বাক্য। প্রথম বাক্যটিতে লেখা ছিল, ‘আমরাই ভিনদেশিদের বিরুদ্ধে এই দেশের জবাব’। তার পাস একটি ‘ক্রস’ চিহ্ন দেওয়া, অর্থাৎ এই বাক্যটি সত্যি নয়। পরের লাইনে লেখা, ‘আমাদের ভিনদেশিদের বিরুদ্ধে পালানোর স্বভাব’। এই লাইনের বাক্য ‘টিক’ চিহ্ন দেওয়া, অর্থাৎ বাক্যটি সঠিক। প্রথম লাইনটি মোহনবাগানের প্রথম শিল্ড জয় নিয়ে তৈরি ‘এগারো’ সিনেমার ‘আমাদের সূর্য মেরুন’ গানের একটি লাইন। দ্বিতীয় লাইনে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এ মোহনবাগানের ইরানে খেলতে না যাওয়া এবং বাতিল হওয়াকে কটাক্ষ করা হয়েছে।

মোহনবাগান সমর্থকেরা ম্যাচের আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁরা নীরব প্রতিবাদ করবেন। সেই মতো বিবৃতিও দিয়েছিল পাঁচটি ফ্যান গ্রুপ। শুক্রবার মোহনবাগান তাঁবুতে সমর্থকদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয় সভাপতি দেবাশিস দত্ত এবং সচিব সৃঞ্জয় বসুর। তবে সেই বৈঠকে সন্তুষ্ট নন সমর্থকেরা। তাই মাঠে গিয়ে তাঁরা নীরব প্রতিবাদ দেখিয়েছেন। এমনকি ক্লাবের দেওয়া বিনামূল্যের টিকিটও গ্রহণ করেননি।
সমর্থকেরা জানিয়েছেন, যে দশ দফা দাবি তাঁরা তুলেছিলেন তা মেটানোর কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি এখনও। ক্লাবের সঙ্গে তাঁরা কোনও রকম আপসের রাস্তায় হাঁটেননি বলেই জানিয়েছেন।