নামধারী এফসিকে হারিয়ে আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার ২-০ ব্যবধানে জিতল লাল-হলুদ শিবির। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করলেন মহম্মদ রশিদ এবং পিভি বিষ্ণু। বুধবার মোহনবাগান ড্র করলেই আগামী শনিবার শিল্ড ফাইনালে কলকাতা ডার্বি।
প্রথম ম্যাচে শ্রীনিধি ডেকানকে হারানোয় ফাইনালে ওঠার জন্য মঙ্গলবার ড্র করলেও হতো অস্কার ব্রুজ়োর দলের। তবু জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারেরা। ইস্টবেঙ্গলের আগ্রাসী ফুটবলের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি নামধারী।
ম্যাচের আগের দিন নামধারীকে সমীহের চোখে দেখেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। শিল্ডের প্রতিপক্ষ দলগুলির মধ্যে শক্তির বিচারে মোহনবাগানের পরই ব্রুজ়ো রেখেছিলেন মঙ্গলবারের প্রতিপক্ষকে। সেই দলের বিরুদ্ধে একপেশে ফুটবল খেলে জয় ছিনিয়ে নিলেন তাঁর ফুটবলারেরা। পঞ্জাবের দলটির বিরুদ্ধে প্রথমার্ধেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।
প্রায় গোটা ম্যাচেই মাঝমাঠ ছিল ইস্টবেঙ্গলের দখলে। দুই প্রান্ত দিয়ে একের পর এক আক্রমণ তৈরি করেছেন বিষ্ণুরা। দাপুটে ফুটবল খেললেও ইস্টবেঙ্গলকে প্রতিপক্ষের বক্সের মধ্যে কিছু দিশাহারা মনে হয়েছে কিছু কিছু সময়ে। ডেভিডের সঙ্গে মিগুয়েলের বোঝাপড়ার অভাব চোখে পড়েছে। তার মধ্যেই ১৯ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন রশিদ। সাউল ক্রেসপোর ক্রসে ঠিক মতো হেড করতে পারেননি মিগুয়েল। ফিরতি বল পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি রশিদ। ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় গোল ৪২ মিনিটে। বক্সের মধ্যে বল পাওয়ার পর প্রতিপক্ষের একাধিক ডিফেন্ডারকে গতিতে পিছনে ফেলে গোল করেন বিষ্ণু।
২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের মধ্যে কিছুটা গাছাড়া মনোভাব দেখা যায়। লাল-হলুদ ফুটবলারদের সে ভাবে আক্রমণে উঠতেও দেখা যায়নি। অধিকাংশ সময় বল ছিল মাঝমাঠে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একাধিক বার গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল নামধারী। তাতে লাভ কিছু হয়নি।
অন্য গ্রুপে গোকুলম কেরালাকে প্রথম ম্যাচে ৫-১ ব্যবধানে হারিয়েছে মোহনবাগান। কেরলের দলটির বিরুদ্ধে ইউনাইটেড স্পোর্টস জিতেছে ১-০ গোলে। দু’দলই ৩ পয়েন্ট করে পেলেও গোল পার্থক্যে এগিয়ে রয়েছে সবুজ-মেরুন শিবির। তাই বুধবার ইউনাইটেডের সঙ্গে ড্র করতে পারলেই শিল্ড ফাইনালে উঠে যাবে মোহনবাগান। সে ক্ষেত্রে আগামী ১৮ অক্টোবর আবার কলকাতা ডার্বি।