বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনই এখন গোটা বিশ্বের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এই বদল রুখতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশ। তার মধ্যেই উদ্বেগের খবর হল গত বছর অর্থাত্ ২০২৩ সাল ছিল এখনওপর্যন্ত উষ্ণতম বছর। গত বছরের তাপমাত্র ছিল বিপজ্জনক মাত্রার একেবারে কাছাকাছি। ফলে উষ্ণায়ণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ল বিশ্বজুড়ে।
ইউরোপিয় ইউনিয়নের জলবায়ু নজরদারি সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত বছর বিশ্বের তাপমাত্র ছিল শিল্পায়নের সময়ের শুরুর থেকে ১.৪৮ সেলসিয়াস বেশি। ২০১৫ সালের জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী তাপমাত্র সীমা ছিল ১.৫০ ডিগ্রি সেলসিয়ায়। অর্থাত্ ওই সীমার খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছে আমাদের এই গ্রহ। নতুন বছর শুরু হয়ে গিয়েছে। এখই ইঙ্গিত মিলছে বছরের শুরুতেই বিশ্বের তাপমাত্র ১.৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে।
জলবায়ু নজরদারি সংস্থা কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের বক্তব্য, ‘এখনপর্যন্ত পৃথিবীর উষ্ণতার যে পরিসংখ্যান হাতে রয়েছে তার মধ্যে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩ সাল। ১৯৯১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ক্রমাগত তাপমাত্র বেড়েছে। ২০১৬ সালে এই বৃদ্ধি ছিল সবচেয়ে বেশি।’ ২০১৫ সালে প্যারিস সমঝোতা মেনে নিয়েছিল ১৩৬ দেশ। ঠিক হয়েছিল বিশ্বের তাপমাত্র বৃদ্ধি গড়ে ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেটের নীচে রাখতে হবে।
সংগঠনের ডেপুটি ডিরেক্টর সামান্থা বার্জেসের বক্তব্য, গত বছর ৭ মাসের গরম সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ২০২৩ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্য়ন্ত ক্রমাগত তাপমাত্র বেড়েছে। এটা শুধু একটা মরশুমে তাপমাত্র বৃদ্ধি নয় টানা ৬ মাস তাপমাত্রে বেড়েছে। এমনটা আগে হয়নি।