লোকসভা ভোটের প্রচারে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রচারে গিয়ে আবার দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, প্রয়াত জওহরলাল নেহরুকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর অভিযোগ, নেহরুর হাতে পড়ে আর একটু হলেই অসম-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অংশ নাকি চিনের অংশ হয়ে যেত।
১৯৬২ সালে চিনা ফৌজের আগ্রাসনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শাহ বলেন, ‘‘চিনা হামলার সময় নেহরু কী ভাবে অসম এবং অরুণাচল প্রদেশবাসীকে ‘বিদায়’ বলে দিয়েছিলেন, মানুষ তা কোনও দিনও ভুলবেন না।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে অসমে বিধানসভা ভোটের সময়ও চিনা হামলার প্রসঙ্গ তুলে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছিলেন শাহ। ‘‘নেহরু ১৯৬২ সালের যুদ্ধের সময় অসমের জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাঁদের চিনের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। কপাল ভাল তাই সেনাবাহিনীর চেষ্টায় চিন অসম দখল করেনি। না হলে, এতদিনে কংগ্রেসের ‘বদান্যতা’য় আপনারা ভারত নয়, চিনের অংশ হতেন।’’
অসমের লখিমপুরে বিজেপির সভায় শাহ মঙ্গলবার দাবি করেন, নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বে চিন ভারতের কোনও জমি দখল করতে পারেনি। তিনি বলেন ‘‘এখন চিন আমাদের এক ইঞ্চি জমিও দখল করতে পারে না। এমনকি ডোকলামেও আমরা তাদের পিছনে ঠেলে দিয়েছি।’’ যদিও লাদাখের ডেপসাং, ডেমচক, প্যাংগং হ্রদের তীরবর্তী আট নম্বর ফিঙ্গার এরিয়া লাগোয়া জমির মতো বেশ কিছু এলাকায় এখনও চিনা ফৌজ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-র এপারে ভারতীয় ভূখণ্ডে রয়েছে বলে অভিযোগ। ২০২০-র ১৫ জুন গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে যা নিয়ে দফায় দফায় দুই সেনার কোন কমান্ডার স্তরের বৈঠকও চলছে।
লাদাখে সম্প্রতি ভারতীয় মেষপালকদের উপর হামলারও অভিযোগ উঠেছে লালফৌজের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে, অরুণাচল প্রদেশের উত্তর সুবনসিরি জেলার তাসরি চু নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা সেনা পুরদস্তুর গ্রাম বানিয়েছে বলে ম্যাক্সারের উপগ্রহচিত্রে দেখানো হয়েছে বছর কয়েক আগে। সে সময় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী অভিযোগের প্রাপ্তিস্বীকার করেছিলেন। ২০২২-এ ম্যাক্সার প্রকাশিত ছবিতে দেখানো হয়েছে, ডোকালামে ভারত সীমান্ত লাগোয়ো ভুটানের জমি জরদখল করে শিবির বানিয়েছে চিনা সেনা।