কলকাতা হাই কোর্টে বিভিন্ন মামলার শুনানি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় ইউটিউবে। সোমবারও চলছিল সরাসরি সম্প্রচার। কিন্তু আচমকাই বিপত্তি। ইউটিউবে হাই কোর্টের শুনানির সরাসরি সম্প্রচার চলাকালীন হঠাৎ ভেসে ওঠে ‘অশ্লীল’ ভিডিয়ো। সঙ্গে সঙ্গে সরাসরি সম্প্রচার কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। আচমকা ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে যান এজলাসে উপস্থিত সকলে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে হাই কোর্ট। আদালত সূত্রে খবর, ইউটিউবে সরাসরি সম্প্রচারের দায়িত্বে থাকা সংস্থাকে ইতিমধ্যে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অভিযোগ জানানো হয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানাতেও।
হাই কোর্টে বর্তমানে পুজোর ছুটি চলছে। তবে অবকাশকালীন বেঞ্চ খোলা রয়েছে। সোমবার হাই কোর্টে অবকাশকালীন বেঞ্চ বসেছিল। মোট তিনটি বেঞ্চ বসেছিল। একটি ডিভিশন বেঞ্চ। দু’টি একক বেঞ্চ। তার মধ্যে বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তের একক বেঞ্চেরও শুনানি ছিল। বিচারপতি সামন্তের বেঞ্চের একটি মামলার শুনানির সরাসরি সম্প্রচার চলাকালীনই ওই ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নজরে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় সরাসরি সম্প্রচার। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বিচারপতি সামন্তের অবকাশকালীন বেঞ্চ বসার কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’-র প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কায় সে দিন অবকাশকালীন বেঞ্চ বসেনি। পরিবর্তে সোমবার বসেছিল অবকাশকালীন বেঞ্চ।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি সরাসরি সম্প্রচারের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক্ করার অভিযোগ উঠেছিল। শীর্ষ আদালতের ইউটিউব চ্যানেলে আমেরিকার ‘রিপল ল্যাবস’ নামে একটি সংস্থার ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত বিজ্ঞাপনী ভিডিয়ো ভেসে উঠেছিল। তার আগে ২০২৩ সালে কর্নাটক হাই কোর্টেও ‘আপত্তিকর ভিডিয়ো’ ঘিরে বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছিল। হাই কোর্টের অন্তত ছ’টি এজলাসে ‘ভিডিয়ো কনফারেন্সিং’-এর মাধ্যমে শুনানি চলাকালীন ‘আপত্তিকর’ ভিডিয়ো ভেসে উঠেছিল বলে অভিযোগ। পরিস্থিতিকে ‘অপ্রত্যাশিত’ বলে মন্তব্য করেছিল কর্নাটক হাই কোর্ট। সাময়িক ভাবে ভিডিয়ো কনফারেন্স বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বেঙ্গালুরু, কালবুর্গি এবং ধারওয়াড়ে হাই কোর্টের সব বেঞ্চে। ঘটনার জেরে বেঙ্গালুরুতে একটি এফআইআরও দায়ের হয়েছিল থানায়।