বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তী সরকার দাবি করেছে তারা সেদেশের সংখ্যালঘু এবং হিন্দুদের নিরাপত্তার সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে চিত্র আলাদা। পরিস্থিতি যে এতোটুকুও বদলায়নি তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে বারবার। জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের পুজো উদ্যোক্তাদের এবার টার্গেট করেছে মৌলবাদীরা। পুজো করতে গেলে জামাতের কাছে পৌঁছে দিতে হবে পাঁচ লাখ টাকা। না হলে পুজো উদ্যোক্তাদের কচুকাটা করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলেছে। এবার দুর্গা পুজোর আগে লক্ষ লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল বাংলাদেশী মৌলবাদী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে। একাধিক দুর্গাপুজো কমিটিকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, পুজো করতে গেলে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। পরিচয় জানাতে অনিচ্ছুক একজন বলেছেন, মোটর বাইকে করে এসে কয়েকজন ওই দাবির চিঠি দিয়ে যায়। বীনাপাণি নামে একটি পুজো কমিটিকে এমন চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি পেয়েছে এই ধরনের হুমকির চিঠি।
বাংলায় লেখা ওই চিঠিতে পুজো কমিটিগুলিকে হুমকি দেওয়া হয়েছে যে, জামাতকে ৫ লক্ষ টাকা না দিয়ে পুজোর আয়োজন করা যাবে না। আরো বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে কালিবাজারের ঢাকার আশপাশে নির্দিষ্ট একটি স্থানে ওই টাকা দিতে হবে। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ফেসবুক পেজ অগ্নিবীরে তোলাবাজির এই হুমকি চিঠি প্রকাশিত হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, পুজো কমিটি এই বিষয়টি প্রশাসন ও সংবাদমাধ্যমকে জানালে তাদের পরিণাম ভোগ করতে হবে। কচুকাটা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। পুজো কমিটির সদস্যদের পরিবারকে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য পুজো উদযাপন করা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
মৌলবাদীরা শেষ কয়েক বছরে বহুবার পুজোয় হিন্দু মন্দির ও দুর্গা পুজো প্যান্ডেল টার্গেট করেছে। শেখ হাসিনার শাসনকালেও সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা ঘটনা ঘটেছে। তারপরেও পুজোয় নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল শেখ হাসিনা সরকার। তবে বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি একেবারে আলাদা। বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নেমে এসেছে। এবার হুমকি চিঠি পাওয়ার পর দুর্গাপুজোর আয়োজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে পুজো কমিটিগুলি। আতঙ্কে রয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।