বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর সময়ে বিভিন্ন মণ্ডপ পাহারা দেওয়া হবে। এই পাহারা দেওয়ার কাজ করবে সেখানকার বিভিন্ন মাদ্রাসার পড়ুয়ারা বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের সরকার। এর তীব্র বিরোধিতা করল বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠন। কেন এই ভাবে মন্দির এবং মণ্ডপ পাহারা দিতে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের সদস্যরা।
‘বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদ’-এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মণীন্দ্র কুমার নাথ এই প্রতিবেদককে বলেন, “দুর্গা পূজার পূজা মন্ডপ পাহারার বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই ক্ষোভের বিষয়টি আমাদের বক্তব্যের মাঝে তুলে ধরেছিলাম। আমাদের প্রতিক্রিয়ায় আমরা পরিস্কারভাবে বলে আসছি পুলিশ বেষ্টিত পূজা আমরা করতে চাই না। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশে সবাই যার যার ধর্ম পালন করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা দিন দিন বেড়েই চলছে।
একদিকে পূজার সংখ্যা বাড়ছে রাজনৈতিক পৃষ্টপোষকতায়, অন্যদিকে প্রতিমা ভাঙ্গার সংখ্যা বেড়েই চলছে-একটি বিশেষ গোষ্ঠীর ধর্মীয় উন্মাদনায়। সম্প্রতি ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্যে নতুন করে যুক্ত হলো পূজামন্ডপ পাহারার জন্য মাদ্রাসার ছাত্রর আগ্রহ প্রকাশ করার কথা। এটি লজ্জার এবং অগ্রহণযোগ্য।”
বাংলাদেশে এখনও হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার এবং আক্রমণ হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই সময়েই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম মন্ত্রকের উপদেষ্টা এ এফ এম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, সেখানে পুজোর সময়ে উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। দুর্গাপুজোয় গোলমাল পাকাতে এলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
মণীন্দ্র কুমার নাথ বলেন, “অতি সম্প্রতি ধর্মীয় উন্মাদনা নিয়ে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয় ভাঙ্গচুর, হামলা ও অগ্নিসংযোগ করার কোনো প্রতিকার না করে পূজামন্ডপে এই ধরণের পাহারা বেষ্টিত ব্যবস্থার কথা বলা উপহাস ছাড়া আর কিছুই নয়।”