আজ বিজয়াদশমী। বাঙালির মিষ্টির দিন। সকাল থেকেই এলাকার মিষ্টির দোকানে উপচে-পড়া ভিড়। এখন তো বাঙালি আর নাড়ু-নিমকিতে সীমাবদ্ধ নেই। ইদানীং সকলেই রেডিমেড মিষ্টির দিকে ঝুঁকেছে।
এদিন তো নিজে মিষ্টিমুখ করা এবং অন্যকে মিষ্টিমুখ করানোর দিন। বাঙালি তাই আজ মিষ্টি-সন্ধানে ব্যাকুল। তার সেই সন্ধানে আছে সন্দেশ রসগোল্লা পান্তুয়া। এসব একটু সাবেকি। তবে এই সাবেকিতেই আটকে নেই সে। প্রথাগত সন্দেশ রসগোল্লা পান্তুয়ার সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে চকোলেট মিষ্টি, ভাপা সন্দেশের মতো একটু ট্রেন্ডি আইটেম। এবার সুগার-ফ্রি মিষ্টির বাজারও ভারী। অনেকেই খুঁজছেন।
তবে, এত কিছুর মধ্যেও রসগোল্লাই যে বাঙালির শ্রেষ্ঠ মিষ্টি, তার প্রমাণও মিলছে। প্রতিটি দোকানেই উপচে পড়ছে রসগোল্লা। তবে এর সঙ্গে রয়েছে আরও ৭০ থেকে ৭৫ রকমের মিষ্টি।
অষ্টমীর অঞ্জলির মতোই দশমীতে মিষ্টিমুখ চিরাচরিত নিয়ম। আগে বাঙালি বাড়িতে মিষ্টি বানাত। নাড়ু নারকোল ছাপা তো ছিলই, হত নিমকি-সহ বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু মিষ্টি। বর্তমান প্রজন্মের কাছে সেসব অতীত। এখনকার বাঙালি রেডিমেড মিষ্টির দোকানেই ভিড় বাড়াচ্ছে।
‘যেও না নবমীনিশি’ বলে কবি আকুল হন বটে, কিন্তু বোধনের পরে স্বাভাবিক নিয়মেই আসে বিসর্জনের লগ্ন। এসেছেও। মঙ্গলবার দশমীতে দুপুরের পর থেকেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিমা নিরঞ্জনের পর্ব। প্রথমে মূলত বাড়ির পুজোগুলির বিসর্জন, পরে বারোয়ারি। জেলায়-জেলায়, মহল্লায়-মহল্লায়, পাড়ায়-পাড়ায় আজ বিষাদের সুর। তবে সেই বিষাদের সুরকে মোলায়েম করে তুলছে মিষ্টিবিনিময়।