শনিবার মধ্যরাত থেকেই শিয়ালদহের উত্তর শাখায় বাতিল থাকবে বহু লোকাল ট্রেন। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, শনিবার থেকে দমদম স্টেশনে নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলবে। এই সময়ের মধ্যে ট্রেন পরিষেবা আংশিক ব্যাহত হবে। ইন্টারলকিংয়ের কাজের কারণে টানা ৫২ ঘণ্টা শিয়ালদহ শাখায় মোট ১৪৩টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে বলে পূর্ব রেল সূত্রে জানিয়েছে।
কোন কোন ট্রেন বাতিল থাকবে তা-ও জানানো হয়েছে রেলের তরফে। শনিবার (১৬ মার্চ) শিয়ালদহ-রানাঘাট, শিয়ালদহ-হাবড়া, শিয়ালদহ-হাসনাবাদ, শিয়ালদহ-মধ্যমগ্রাম, শিয়ালদহ-দমদম ক্যান্টনমেন্ট, শিয়ালদহ-বারাসত, শিয়ালদহ-গোবরডাঙা, শিয়ালদহ–বনগাঁ, শিয়ালদহ-বর্ধমান, শিয়ালদহ-কাটোয়া, শিয়ালদহ-দত্তপুকুরের শাখায় একাধিক লোকাল বাতিল থাকবে। এ ছাড়াও শিয়ালদহ-ব্যারাকপুর, শিয়ালদহ-নৈহাটি, শিয়ালদহ-ডানকুনি শাখার কয়েক গুচ্ছ ট্রেন রয়েছে বাতিলের তালিকায়।
পাশাপাশি, ব্যারাকপুর-দমদম, বিবাদী বাগ-কৃষ্ণনগর সিটি জংশন, মাঝেরহাট-মধ্যমগ্রাম, মাঝেরহাট-বারাসত, হাসনাবাদ-মাঝেরহাট, ক্যানিং-বারাসত, বারাসত-হাসনাবাদ, হাসনাবাদ-দমদম জংশন, বালিগঞ্জ-ব্যারাকপুর ও মাঝেরহাট-নৈহাটি শাখারও কিছু ট্রেন বাতিল থাকবে শনিবার। শুধু লোকাল নয়, শনিবার বাতিল থাকছে কয়েকটি মেল এক্সপ্রেস। সেই তালিকায় রয়েছে শিয়ালদহ-জঙ্গিপুর এক্সপ্রেস, আসানসোল ইন্টারসিটি এবং শিয়ালদহ-সিউড়ি এক্সপ্রেস।
রবিবারও (১৭ মার্চ) দিনভর অনেকগুলি লোকাল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল থাকবে। শিয়ালদহ-হাবড়া, শিয়ালদহ-হাসনাবাদ, শিয়ালদহ-ডানকুনি, শিয়ালদহ-বারাসত, শিয়ালদহ-গোবরডাঙা, শিয়ালদহ-দত্তপুকুর, শিয়ালদহ-ব্যারাকপুর, শিয়ালদহ-নৈহাটি, ব্যারাকপুর-দমদম জংশন, বিবাদী বাগ-কৃষ্ণনগর সিটি জংশন, মাঝেরহাট-মধ্যমগ্রাম, মাঝেরহাট-বারাসত, হাসনাবাদ-মাঝেরহাট, দত্তপুকুর-মাঝেরহাট-সহ একাধিক ট্রেন বাতিল থাকছে রবিবার। এ ছাড়াও শিয়ালদহ-সিউড়ি এক্সপ্রেসও বাতিল থাকবে।
পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার ভোর ৪টে থেকে আবারও এই শাখায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে। নিরাপদ, সুরক্ষিত ট্রেন চলাচলের জন্য এই প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেছে রেল। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, দমদমের নন-ইন্টারলকিং সিস্টেমটি ১৯৯৬ সাল থেকে কাজ করছে। তবে বর্তমানে সেই সিস্টেম আধুনিকীকরণ করার প্রয়োজন রয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেই কাজ করা হচ্ছে। রেলের তরফে যাত্রীদের উদ্দেশে পরামর্শ, এই দু’দিন যেন ট্রেন বাতিলের কথা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করেন। যে হেতু অধিকাংশ ট্রেনই চলবে, তাই যাত্রীদের তেমন সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন রেলকর্তারা।