এবার পুজোয় শিলিগুড়িতে নজর কেড়েছে তেজস্বিনী। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের মহিলা পুলিশের নিজস্ব টিম। আর পাশের জেলা জলপাইগুড়িতে সোমবার নজর কাড়লেন মহিলা ট্রাফিক কনস্টেবল। অনেকে বলছেন তেজস্বিনী তিনিও। ওই মহিলা কনস্টেবলের কর্তব্য পরায়নাতা দেখে প্রশংসা করেছেন অনেকেই। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলা এলাকায় দিনের মধ্য়ে মাঝেমধ্য়েই যানজট হয়। সোমবারও তেমনি যানজট হয়েছিল রাস্তায়। যানজট মোকাবিলার কাজ করছিলেন লেডি কনস্টেবল ফাল্গুনি রায়। আচমকাই একটি বাসের চালক বাসটিকে ঘুরিয়ে শিলিগুড়ির দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এর জেরে যানজট একেবারে পাকিয়ে যায়।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
আসলে মহিলা কনস্টেবলের নির্দেশ মানতে চায়নি ওই বাস চালক। কার্যত মহিলা বলেই তাঁর নির্দেশ উপেক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন বাস চালক। অভিযোগ এমনটাই। কিন্তু অত সহজে ছাড়তে চাননি ওই মহিলা কনস্টেবল। একেবারে ছুটে গিয়ে বাসটিকে দাঁড় করিয়ে চালকের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করেন। এরপর যাত্রী সমেত বাসটিকে নিয়ে সোজা সদর ট্রাফিক অফিস। সেখানেই জরিমানা করা হয় বাসটিকে। এরপর বাসটিকে ছাড়ে পুলিশ। এর সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে এই বার্তা, মহিলা পুলিশ বলে তাঁকে উপেক্ষা করার দিন বোধহয় এবার শেষ হওয়ার পথে।
এদিকে ট্রাফিক ওসি বাপ্পা সাহা জানিয়েছেন, ট্রাফিক আইন অমান্য করায় তাকে ফাইন করা হয়েছে। মহিলা দেখে চালক পাত্তা দেননি। সেকারণেই বাসটিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। আর চালকের দাবি, যাত্রী নামাতে গিয়ে বাস ঘোরাতে গিয়েছিলাম। সেই সময় লাইসেন্স নিয়ে নিল পুলিশ।