বিরোধীরা পঞ্চায়েত ভোটকে প্রহসন বলেছে। মনোনয়ন পর্ব থেকে হিংসা, প্রাণহানির ঘটনায় বাংলা অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতার সাক্ষী বলে দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, নিরপেক্ষ ভোট হলে বিজেপির আসন কয়েকগুণ বাড়তো। যদিও যেভাবে নির্বাচন হয়েছে তাতেই বিজেপির আসন বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুকান্ত। একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০১১- র আগে ২০০৮ এর পঞ্চায়েত ভোটে যে ভাবে তৃণমূল উঠে এসেছিল। একই ভাবে বিজেপিও উঠে আসছে।
আজ বালুরঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, বাংলা ভোট লুটে এগিয়ে। বিডিওরা তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্টের মত কাজ করেছেন। বিডিওদের সঙ্গে থানার আইসিদের যৌথ প্রযোজনায় ভোট লুটের পরেও বিজেপি দশ হাজারের কাছাকাছি আসনে জিতেছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে যখন কথা বলেছিলেন সুকান্ত মজুমদার তখন বিজেপি ৯৫১৩ টি আসনে জয় লাভ করেছে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজেপি ৫৭৭৯ টি আসনে জিতেছিল। ফলে এবারে আসন বৃদ্ধির সংখ্যা দ্বিগুণ।
তিনি বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুন্ডারা রাস্তায় ভয়ংকর ভাবে দাপিয়ে বেরিয়েছে, ছাপ্পা ভোট চলেছে, গননার দিন বাক্স বদল সহ কিছুই বাদ ছিল না। তবু এই ফলাফল হয়েছে দলের কর্মীদের লড়াইয়ের কারণেই। তিনি বলেন, দলের কর্মীদের ধন্যবাদ জানাবো। তারা বন্দুক, বোমার সামনে মাথা নত না করে লড়াই করে দলকে প্রায় দশ হাজার আসনে জিতিয়েছেন।
২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বামফ্রন্ট সরকার বড় ধাক্কা খেয়েছিল ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেই। তারপর ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনেও বামেরা ধাক্কা খায়। সেই ইতিহাস মনে করিয়ে তিনি বলেন, এবারও এত বাধা সন্ত্রাসের মধ্যে ২৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। আর ২০০৮ সালেও তৃণমূল ২৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। তাই আমরা আশ্বস্ত মানুষ আগামী দিনে এই সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবেন।