গরু পাচার মামলায় একইদিনে জোড়া ধাক্কা বীরভূমের মণ্ডল পরিবারের। একদিকে যেমন সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mandal) জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল, অন্যদিকে তেমনই পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের জামিন মামলার শুনানি। ফলে আপাতত তিহাড় জেলেই থাকতে হচ্ছে গরু পাচারে অভিযুক্ত বাবা-মেয়েকে।
গত শুক্রবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক রঘুবীর সিংয়ের এজলাসে সুকন্যা মণ্ডলের জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। সুকন্যার আইনজীবী জানান, গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বিএসএফের (BSF) ক্যাপ্টেন সতীশ শর্মার স্ত্রী তানিয়া সান্যালের নামও ইডি’র (ED) চার্জশিটে রয়েছে। তা সত্ত্বেও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। শুধুমাত্র অনুব্রতর কন্যা বলেই সুকন্যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুকন্যার গত একবছর ধরে চিকিৎসা চলছে। আগামী জুন মাসে তাঁর অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা। সেকথা উল্লেখ করে সুকন্যার জামিনের আবেদন জানানো হয়।
অন্যদিকে ইডি’র তরফে থেকে বলা হয়, “অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির (Manish Kothari) বয়ান অনুযায়ী, সুকন্যাই ব্যবসা দেখতেন। সকলকে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নির্দেশ দিতেন। তিনি কিছু না জেনে সাক্ষর করে গিয়েছেন, সেটা হতে পারে না। এই ধরণের তছরুপ মামলায় জামিন হয় না।” দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শুনেছেন বিচারক। সেদিন শুনানির শেষে রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। বৃহস্পতিবার সুকন্যার আইনজীবীদের যুক্তি নাকচ করে দিয়ে সুকন্যার জামিনের আরজি খারিজ করে দিল রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। ফলে আপাতত তিহাড় থেকে বেরোতে পারছেন না অনুব্রত কন্যা। যদিও তাঁর কাছে দিল্লি হাই কোর্টে যাওয়ার রাস্তা খোলা রয়েছে।
মেয়ের আগেই অবশ্য এদিন আদালতে ধাক্কা খেয়েছেন অনুব্রত নিজে। দিল্লি হাই কোর্টে (Delhi High Court) তাঁর করা জামিনের আরজির শুনানিই হল না বৃহস্পতিবার। শরীর ভাল নেই। জেলের বাইরে গিয়ে চিকিৎসার প্রয়োজন। এই যুক্তি দেখিয়ে অনুব্রতও রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে জামিনের আরজি জানিয়েছিলেন অনুব্রত। সেই আরজি আগেই খারিজ হয়ে যায়। পালটা দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করেছিলনে বীরভূমের তৃণমূলে জেলা সভাপতি। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও এদিন আদালতে আসেননি বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা। যার ফলে অনুব্রতর জামিনের আবেদন পিছিয়ে গিয়েছে। ৯ জুন পরবর্তী শুনানি। অর্থাৎ আরও এক সপ্তাহ তাঁর জামিনের কোনও সম্ভাবনা নেই।