প্রীতম, প্রীতম। বন্ধুরা ডাকছে। কিন্তু কোনও সাড়া নেই প্রীতমের। কারণ তিনি নিখোঁজ। বন্ধুদের সঙ্গে ট্রেকিং করতে গিয়েছিলেন দেবভূমিতে। কিন্তু সেখানের প্রলয়ে অনেককেই বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। তেমনই উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিং করতে গিয়ে নিখোঁজ হলেন নদিয়ার রানাঘাটের হবু ডাক্তার। হাওড়ার বাগনানের চার বন্ধুর সঙ্গে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন প্রীতম রায়। কিন্তু ১২ দিন ধরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। উত্তরাখণ্ড প্রশাসনও কোন খবর দিতে পারেনি।
চারিদিকে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে দেবভূমিতে। তার মধ্যেই বন্ধুরা চিৎকার করে ডাকছেন প্রীতম, প্রীতম, কোথায় গেলি? কোথায় তুই? সাড়া দিচ্ছিস না কেন? সত্যিই সাড়া পেল না প্রীতমের বন্ধুরা। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি চূড়ান্ত–বর্ষের ছাত্র প্রীতম রায় (২৭)। প্রীতমের ট্রেকিংয়েরও নেশা ছিল। সেই নেশাই নিখোঁজ করল প্রীতমকে বলে মনে করছেন পরিবারের সদস্যরা। এখন সেখানে শোকের ছায়া।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
প্রীতম, প্রীতম। বন্ধুরা ডাকছে। কিন্তু কোনও সাড়া নেই প্রীতমের। কারণ তিনি নিখোঁজ। বন্ধুদের সঙ্গে ট্রেকিং করতে গিয়েছিলেন দেবভূমিতে। কিন্তু সেখানের প্রলয়ে অনেককেই বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। তেমনই উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিং করতে গিয়ে নিখোঁজ হলেন নদিয়ার রানাঘাটের হবু ডাক্তার। হাওড়ার বাগনানের চার বন্ধুর সঙ্গে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন প্রীতম রায়। কিন্তু ১২ দিন ধরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। উত্তরাখণ্ড প্রশাসনও কোন খবর দিতে পারেনি।
চারিদিকে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে দেবভূমিতে। তার মধ্যেই বন্ধুরা চিৎকার করে ডাকছেন প্রীতম, প্রীতম, কোথায় গেলি? কোথায় তুই? সাড়া দিচ্ছিস না কেন? সত্যিই সাড়া পেল না প্রীতমের বন্ধুরা। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি চূড়ান্ত–বর্ষের ছাত্র প্রীতম রায় (২৭)। প্রীতমের ট্রেকিংয়েরও নেশা ছিল। সেই নেশাই নিখোঁজ করল প্রীতমকে বলে মনে করছেন পরিবারের সদস্যরা। এখন সেখানে শোকের ছায়া।|#+|
পরিবার সূত্রে খবর, প্রীতমের বাবা প্রমিল রায় পেশায় চিকিৎসক। তিনি জানান, পঞ্চমীর দিন ভোরে ট্রেকিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় প্রীতম। তাঁর সঙ্গে ছিল বাগনানের চার বন্ধু। ১১ তারিখ শেষবার ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তারপরেই চোখের জল ফেলে প্রমিলবাবু বলেন, ‘সেদিন ছেলে বলেছিল, ওরা যে পথে যাচ্ছে সেখানে ফোনের নেটওয়ার্ক থাকে না। কয়েকদিন কথা হবে না। চিন্তা করো না। পরে ফোন করব।’ সেই ফোনটা আর আসেনি।
উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমেছে উত্তরাখণ্ডে। চারিদিকে ধস। শুধু বানভাসী পরিস্থিতি। কোথাও আটকে পর্যটক, তো কোথাও স্বজন হারানো হাহাকার। তাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে প্রীতমের পরিবার। প্রীতমের সঙ্গীদেরও কোনও খোঁজ মিলছে না। ছেলে বেঁচে আছে তো? এই প্রশ্নই এখন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে বাবা প্রমিলকে। আর প্রীতমের মা ঠাকুরের ছবির সামনে বসে ছেলেকে ফিরিয়ে দাও বলে প্রার্থনা করে চলেছেন। প্রীতমের সঙ্গে রয়েছেন হাওড়া বাগনান থানার খালোর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য চন্দ্রশেখর দাস, তাঁর আত্মীয় শরিত শেখর দাস, সাগর দে এবং আর একজন। তাঁদের এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি।