নজিরবিহীন পদক্ষেপ করলেন টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। দুর্নীতির সঙ্গে কোনো আপোষ করা হবে না। বারবার এমনটাই সাওয়াল করেছেন মোদী মন্ত্রী সভার এই গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রী। সেই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই টেলিকম দপ্তরের ১০ জন শীর্ষস্থানীয় কর্তার বাধ্যতামূলক অবসরের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো কর্তাদের মধ্যে মধ্যে একজন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার আধিকারিক রয়েছে বলেও সূত্রের খবর। এই প্রথম টেলিকম মন্ত্রকের কোনো কর্মচারীকে সিসিএস বিধি ১৯৭২ -এর পেনশন বিডি ৪৮ -এর অধীনে ৫৬ (জে) ধারার অধীনে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হল।
শোনা যাচ্ছে, ঐ সমস্ত আধিকারিকদের সততা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। দশ জনের বাকি ৯ জন ডিরেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। ২৫ ডিসেম্বর গুড গভর্নেন্স ডে, ঠিক তার আগের দিনে এই কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী মন্ত্রিসভার অন্যতম মন্ত্রী।
কাজ করুন অথবা ছেড়ে দিন। এই নীতিতে ভর করেই এগিয়ে যেতে হবে। তিনি কর্মীদের সাফ জানিয়েছেন সরকারি কর্মচারী বলে, আত্মভিমান দেখালে চলবে না, গ্রাহকদের পরিষেবার দিক তাদের সুনিশ্চিত করতে হবে। সেই কারণেই যাদের বিরুদ্ধে সততা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে বৈষ্ণবে বৈঠকে ঘুমানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন বিএসএনএল-এর এক প্রবীণ কর্তা। তাকেও স্বেচ্ছা অবসরে পাঠানো হয়। টেলিকম ছাড়াও রেল মন্ত্রকেরও দায়িত্বে রয়েছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেখানেও ইতিমধ্যে দক্ষতার অভাব বা অসততা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কারণে ৪০ জনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। যাদের মধ্যে একজন সচিব পর্যায়ের ও দু’জন বিশেষ সচিব পর্যায়ের কর্তা ছিলেন বলে জানাগেছে।