শহর মেতেছে দীপাবলি উদ্যাপনে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে শব্দবাজির দাপট শুরু হয় উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতায়। পাড়ার অসুস্থ, প্রবীণদের কথাই ভাবা হয়নি। তাদের কথা মাথায় রাখেন কে! বাজির তাণ্ডবে পথকুকুরেরা ভয়ে সিঁটিয়েছিল। তাদেরই এক ‘প্রতিনিধি’ শব্দবাজির উৎপাতে তটস্থ হয়ে ঢুকে পড়েছিল কলকাটা মেট্রোয়। ‘বিনা টিকিটে ঢুকে পড়া যাত্রী’কে নিয়ে মঙ্গলবার বিবৃতি দিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার কলকাতা মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, শব্দবাজির ভয়ে অনেক পথকুকুর সোমবার রাতে মেট্রোর নানা স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছিল। গিরিশ পার্ক মেট্রোস্টেশন দিয়ে একটি কুকুর ঢুকে পড়ে চলমান ট্রেনে। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে বার করে নিয়ে যান।
পরে এ-ও লেখা হয়, ‘‘মেট্রো রেলওয়ে অনুপ্রবেশকারীদের উপর কড়া নজর রাখে এবং প্রাণীর ক্ষতি না করেই সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেয়। এটি ছিল তেমনই একটি ঘটনা।’’
যদিও শুধু গিরিশ পার্ক মেট্রোস্টেশনে পথকুকুর ঢুকে পড়ার কথা জানলেও এমন ঘটনা এক না কি একাধিক ছিল তা পরিষ্কার করেননি কর্তৃপক্ষ। বস্তুত, দীপাবলির রাতে ক্ষুদিরাম স্টেশনগামী শেষ মেট্রোয় ‘সওয়ার’ হয়েছিল একটি পথকুকুর। ঠিক কোন স্টেশন থেকে সে ঢুকেছিল পরিষ্কার নয়।
তবে প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীরা তার উপস্থিতি খেয়াল করেন মাস্টারদা সূর্যসেন স্টেশন (বাঁশদ্রোণী এলাকা) পেরনোর পরে। বাদামি রঙের পথকুকুরটি ক্ষুদিরাম স্টেশনের দিকে আগুয়ান মেট্রোর প্রথম থেকে শেষ কামরা পর্যন্ত ছোটাছুটি করছিল। তার চোখেমুখে ভয়ের ছাপ। আবার যাত্রীদের অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ কুকুরটিকে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। পারেননি। শেষমেশ অন্তিম স্টেশনে মেট্রো কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কয়েক জন যাত্রী। এর পর মেট্রোর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা সেটিকে স্টেশনের বাইরে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেন। পথকুকুরটির পাড়ার নাম জানা যায়নি। শেষমেশ সে পাড়া খুঁজে পেয়েছে কি না, তা-ও অজানা। তবে সোমবার রাতে শব্দদৌরাত্ম্য কেমন ছিল, তা বুঝতে ওই পাড়াছাড়া কুকুরটি অন্যতম উদাহরণ।