তালাক দিয়েছিলেন প্রথম পক্ষের স্বামী। তারপর থেকেই বাপের বাড়িতে থাকতেন নার্গিস। অনেক বাধা পেরিয়ে শেষমেশ হিন্দু ঘরের বধূ হলেন নার্গিস। তাঁর নতুন নাম হলো লক্ষী। ঘটনা নদীয়া জেলার।
সূত্রের খবর, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার গোপালনগরের মুসলিম তালাকপ্রাপ্তা নার্গিস মল্লিক (১৯) মিসকলের সূত্র ধরে নদীয়ার ধানতলা থানার এক হিন্দু যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নতুন করে ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি ঘর ছাড়েন তিনি। ওই হিন্দু যুবকের পরিবার এই সম্পর্কে কোনো আপত্তি করেননি। কিন্তু বাধা আসে স্থানীয় নেতৃত্বের তরফে। তাকে জোর করে তাঁর বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়।
কিন্তু হিন্দু যুবকের সঙ্গে সংসার বাঁধার স্বপ্নে অনড় ছিলেন নার্গিস। পরে লুকিয়ে আবার পালিয়ে আসেন। স্থানীয় হিন্দু সংগঠনের কার্যকর্তাদের সহযোগিতায় সনাতন হিন্দু ধর্মের রীতি অনুযায়ী তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। পরে চাঁদপাড়া অফিসে তাদের ম্যারেজ রেজিস্ট্রি হয়। স্বেচ্ছায় হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করলেন নার্গিস। তাঁর নতুন নাম হলো লক্ষী। লক্ষী জানিয়েছেন, তালাকের অন্ধকার থেকে মুক্তি পেতেই হিন্দু যুবককে বিয়ে এবং হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছে সে।