অন্যান্য দিনের মতোই বুধবার সকালেও ইকোপার্কে আসেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। প্রাতঃভ্রমণের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে বিভিন্ন ইস্যুতে সরাসরি আক্রমণ করেন তিনি।
মুকুল কোথায়?
মুকুল রায় প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমার মজা লাগছে। যিনি বাংলার চাণক্য, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি নাকি হারিয়ে গিয়েছেন? তিনি কি বাচ্চা ছেলে? মুখে চুসি কাঠি নিয়ে ঘুরে বেড়ান? ছেলে বলছে, বাবার হাতে ৫০ হাজার টাকা আছে। খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না, কি করে জানা গেল টাকা আছে? আমার মনে হয়, বাড়ির লোকের অত্যাচারে উনি বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। উনি বাড়িতে খুব কষ্টে ছিলেন। ছেলে অত্যাচার করে। দলের কাছেও তিনি খুব সুখী নন। পীযুষ কানোড়িয়ার নাম আসছে। ওনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কি সম্পর্ক জানিনা। আমাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। দায় আমাদের ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে। এমন ভাব করা হচ্ছে, কেউ কিছু জানেনা। কি কাজ করছে পুলিস? বঙ্গভবনে বাহাত্তর জন রাজ্য পুলিস আছে। তারা কি ভ্যারেন্ডা ভাজে? জিতেন তেওয়ারিকে উত্তর প্রদেশ থেকে ধরে আনতে পারো, আর মুকুল রায় কোথায় তা জানোনা? বাংলার লোক কি এতোই বোকা? ওনার মাথার ঠিক নেই, মনের ঠিক নেই। তাই উনি কোথায় আছেন, তার দায় পরিবারের। সেখানে বিজেপিকে ঢোকান হচ্ছে কেন? এগুলো কি ধরনের মামদোবাজি? আগেও মুকুল বলত, এই তো, অমিত শাহ এর সঙ্গে কথা হল। আর কৈলাশ বিজয়বর্গীর সঙ্গে ওনার দোস্তি আছে। বিশেষ বিমানে ওনাকে হায়দরাবাদ নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন কৈলাশ। ওনার ছেলে বলছে ট্রিটমেন্ট করতে হবে। এতোদিন করেন নি কেন? কেউ ওনার খোঁজ নেয়না। ওনাকে একটা কমিটির চেয়ারম্যান করা হল। সেই কমিটির কি হল? উপড়ে ফেলে দেওয়া হল। আমরা এইসব আবর্জনা চাইনা। তাই আমাদের নামে মিথ্যা অপপ্রচার না করে, পরিবার ওনার খেয়াল রাখুক।‘
অভিষেক সমন ইস্যু
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআই-এর তলব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যারা ফাঁসি যাবো বলছেন, তারা সিবিআই ডাকতেই প্যান্ট ঢিলে হয়ে যাচ্ছে কেন? যদি আপনি কনফিডেন্ট হন, যান একবার। বুক ফুলিয়ে যান। চা খেয়ে চলে আসুন। যাচ্ছে না মানে কিছু গড়বড় আছে। কেষ্টকে দশবার ডাকা হয়েছিল। যাননি। একাদশবার গেলেন, ভিতরে ঢুকে গেলেন। পার্থ, মাণিক সবারই তাই হয়েছে। এগুলো দেখে ভয় পাচ্ছেন? অনেকে অনেক ডায়লগ দেয়। কেউ গান্ধী হতে চায়। কেউ সাভারকর হতে চায়। রাহুল গান্ধি বলেছিলেন, আমি ক্ষমা চাইব না। লাস্টে কোর্টে গিয়ে আপিল করতে হয়েছে। এরকম বিপ্লবী আমরা অনেক দেখেছি। ফাঁসি তো দূরের কথা, জেল শুনলেই মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।‘