দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘অনেক রকম প্রশ্ন উঠছে, এত বড় ঘটনা হয়েছে কারণটা কি? অনেক কিছু হতে পারে। পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন লোক বিভিন্ন রকম কথা বলছে। স্বাভাবিকভাবে এই ধরনের ঘটনা আগামী দিনে না হোক তার জন্য সরকারের ব্যবস্থা হওয়া উচিত সেই জন্য সিবিআই ইনকোয়ারি হলে সব কিছু তথ্য সামনে আসবে সবার ধারণা এরকমই থাকে। সরকারও চেয়েছে সেটা যদি সিবিআই ইনকোয়ারী হয় সত্য সামনে আসবে। মমতা ব্যানার্জি কী করেছেন আমরা জানি। তার সময় প্রায় সাড়ে পাঁচশোর মত অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। সাড়ে আটশ ডিরেলমেন্ট হয়েছে। ১৪০০ এর মতো লোক মারা গিয়েছে। আজকে তিনি বড় বড় কথা বলছেন। তখন কেন লাগাননি কবজ। তখন কেন আধুনিকরণ করেনি রেলের। তাহলে এই সমস্যা হতো না। তখন রেলকে আটকে রেখেছিলেন ভাড়া বাড়তে দেবেন না, সুবিধা দেবেন না। তার মন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন তাকেই পাল্টে দিলেন উনি। রেল বাজেট পেশ করে আলোচনা করতেই পারলে না তার আবার বড় বড় কথা বলছেন। রেলকে লুটেছেন ওনারা। নিজের লোকদের চাকরি দিয়েছেন সব। সব থেকে বড় ঘোটালা রেলে হয়েছে। তখন থেকে দুর্নীতি করতে শিখেছেন রেল থেকে। আজকে রেলের দূর্দশা কেন? কেন মোদীজিকে এত কষ্ট করতে হচ্ছে। সেই জন্য যারা কিছুই করেনি লুট করেছেন তাদের বড় বড় কথা বলা সাজেনা। সরকার কাজ করছে গত ৯ বছরের মধ্যে কটা অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে? অ্যাক্সিডেন্ট কমেছে। অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে এত লোকের জীবনানি হয়েছে সরকার সমস্ত সত্য খুঁজে বার করবে’।
2/5
সবুজ পতাকা হাতে উদ্বোধন করে কৃতিত্ব নিলে মৃত্যুর দায়ও নিতে হবেছ অভিষেক
তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিরদিন পদত্যাগের নাটক করেছেন কোনও দায়িত্ব নেন নি। কোনও কাজ পুরো করেননি। যখন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ওনার যোগ্যতা বোঝা গিয়েছে। আর ভাইপো জীবনে কি করেছেন? তিনি সমালোচনা করে দায়িত্ব শেষ করছেন। পদত্যাগ চাইছেন। পদত্যাগ নয় পদে থেকে কাজ করে দেখানোটাই হচ্ছে পৌরুষ যেটা ওনাদের মধ্যে নেই’।
3/5
রেলমন্ত্রী থাকাকালীন অ্যান্টি কলিশন ডিভাইসের ব্যবস্থা: মমতা
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘অ্যান্টি কলিশন যদি উনি করে থাকেন তার পরে যারা মন্ত্রী হয়েছেন সেই সময় এত এক্সিডেন্ট কেন হয়েছে। যারা মারা গিয়েছে এদের জীবনের দাম নেই। যখন ঝাড়গ্রামে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের অ্যাক্সিডেন্ট হলো ওনারা প্রেস করে বলেছিলেন যে মাওবাদী হাত আছে। এখন বলছেন পদত্যাগ চাই তখন কেন পদত্যাগ চাননি রেলমন্ত্রীর। এসব ড্রামা আমরা জানি লোক ভুলে যাবে না এত সহজে। আপনারা রোজ রোজ নাটক করেন সব মনে আছে’।
4/5
মেক ইন ইন্ডিয়া এখন ডিজাস্টার ইন্ডিয়া: ফিরহাদ
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যিনি ডকে তুলে দিয়েছেন, কর্পোরেশনের লোককে জল দিতে পারেন না। একটা তুফান এলে সাত দিন জল নেই, বিদ্যুৎ নেই, তার যোগ্যতা আমরা জানি। লোকের সমালোচনা করে ওনারা ভাবছেন এই সব উল্টোপাল্টা বলে দুর্নীতিকে চাপা দেবেন। বাঁচার কোনও রাস্তা নেই। সবকটাকে ভেতরে যেতে হবে’।
5/5