নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে অযোগ্যদের সম্ভাব্য তালিকা জমা দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সিবিআই’কে উদ্ধৃত করে আদালতে এসএসসি জানিয়েছে ২৫,৭৫৩ জনের মধ্যে অযোগ্য প্রায় ৮৩২৪ জন। এরপরই বিজেপি সহ বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টে কেন এই তালিকা জমা দিল না?
এসএসসি এই তালিকা হাইকোর্টেই যদি জমা দিত তাহলে তো মামলা শীর্ষ আদালত পর্যন্ত গড়াতো না। এখনো পর্যন্ত এসএসসি এর কোন ব্যাখ্যা দেয়নি। এদিকে বুধবার সকালে বর্ধমান শহরে তেঁতুলতলা বাজারে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এই প্রসঙ্গে বড় দাবি করেছেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।
দিলীপবাবুর দাবি, হাইকোর্টের রায় সামনে আসার পরে রাজ্য সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের পাশে দাঁড়াবেন, প্রয়োজনে কোর্টে যাবেন। তারপরই প্রধানমন্ত্রীর ভয়ে এসএসসি লুকিয়ে রাখা তালিকা সুপ্রিম কোর্টে জমা দিতে বাধ্য হচ্ছে।
দিলীপ ঘোষের আরও অভিযোগ, রাজ্যের মধ্যে অযোগ্যদের বাঁচাতে কলকাতা হাইকোর্ট যোগ্যদের তালিকা জমা দেয়নি এসএসসি। ধীরে ধীরে সেটা স্পষ্ট হচ্ছে।
নিয়োগ মামলার রায় দিতে গিয়ে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। রাতারাতি চাকরি খুইয়েছিলেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী। ওই মামলাটি মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে যায়। যোগ্য অযোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে হাইকোর্টের রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে দেশের শীর্ষ আদালত। চূড়ান্ত শুনানি হবে ১৬ জুলাই।