বার বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ শানিয়ে কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বলেছেম, ইডি, সিবিআইকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এ তথ্য মানতে নারাজ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডান-বামে যে সমস্ত লোকেরা ঘুরে বেড়ায় তারা বেশিরভাগই সব দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই সকলের কাছে ইডি, সিবিআইয়ের চিঠি যাচ্ছে। এটা নতুন কিছু নয়, গোটা দেশজুড়ে এই কাজ চলছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, অভিষেক খাবে কি? আমার বক্তব্য, এতদিন কি খাচ্ছিল? খাওয়ার জন্য কাঠমানি আছে, তোলাবাজি আছে, কয়লার টাকা আছে, গরুর টাকা আছে, সব টাকাই তো ওই দিকে যায়। এসব নাটকবাজি বন্ধ করুন। এত টাকা এল কোথা থেকে? গাছ লাগিয়েছেন, শয়ে শয়ে কোটি টাকার মালিক হয়ে বসে রয়েছেন। বাড়ি, গাড়ি এত ফুটানি কোথা থেকে চলছেৃ। এসব সবাই সব জানে। যদি দোষী না হন ,সবই ফেরত পাবেন।
পার্থী ঘোষাণার পর নির্দল হয়ে দাঁড়াবেন হুমকি দেন হুমায়ুন কবীর। এ বিষয়েও বিজেপি নেতার মত, হুমায়ুন কবীর নতুন কিছু বলেন না, সব দল করা হয়ে গেছে, ধুমকি চুমকি এসব দিয়ে। যারা নিয়েছেন তারা বুঝবেন। কংগ্রেসের দ্বিতীয় তালিকায় নেতার ছেলেমেয়েদের ছড়াছড়ি। কংগ্রেস পারিবারিক পার্টি এটা নতুন কিছু না। এটাই কংগ্রেসের জীবন আর এটাই মৃত্যুর কারণ হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এ রাজ্যে সিএএ চালু হতে দেবেন না। দিলীপ ঘোষের মতে, এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আওয়াজ আমরা অনেক শুনেছি, কেন্দ্রীয় সরকার এমন ব্যবস্থা করেছে কেউ কাউকে বঞ্চিত করতে পারবে না। অনলাইনে যার যার ডকুমেন্টস আছে, তা আপলোড করবেন কার্ড তারা পেয়ে যাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটা চাইছিলেন হিন্দুদেরকে বঞ্চিত করে মুসলমানদেরকে হাওয়া দিয়ে ভোটটা জিততে। সেটা হবে না। মুসলমানরাও বুঝতে পেরেছেন। এখানে মুসলমানদের কোনও নামই নেই, তাদের ভূমিকাও নেই। যারা বাইরে থেকে আসছে তাদেরকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ভারত সরকার বারবার দেয় এবারও দিচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা মিথ্যা কথা বলেছিলেন এখন মানুষকে উত্তর দিতে হচ্ছে। এখনও বলছেন। কদিন বাদে সব ঠিক হয়ে যাবে। ওনার মিথ্যা কোথায় কেউ আর পা দেবে না।