একদিকে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারি, অন্যদিকে শনিবার সকাল থেকে রাজ্যেজুড়ে ইডির তল্লাশি অভিযানের মধ্যেই জেলা শহর মেদিনীপুরে বিজেপির অভিনব প্রতিবাদ-মিছিল ঘিরে চাঞ্চল্য।
প্রতীকি এই প্রতিবাদ মিছিলে খোদ সাংসদ দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে এক বিজেপি কর্মীকে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সাজিয়ে তার কোমরে দড়ি পরিয়ে, তাকে চাবুক মারতে মারতে নিয়ে যাওয়া হয়। শুধু তাই নয়, মিছিলে হাঁটানো হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাজে সজ্জিত এক মহিলা বিজেপি কর্মীকেও। পাশে ছিলেন গ্রেফতার হওয়া বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’ অনুব্রত মণ্ডলের সাজে সজ্জিত এক বিজেপি কর্মীও। আর এই মিছিলের ঘন্টাখানেকের মধ্যেই দুই বিজেপি কর্মীকে আটক করার অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার বিরুদ্ধে।
মুখ্যমন্ত্রী সেজে মিছিলে হাঁটা মহিলা কর্মী গীতিকা দাস এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সাজা বিজেপি কর্মী বুদ্ধদেব পলমল’কে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসার অভিযোগ করেছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। তারপরই বেলা দুটো থেকে কোতোয়ালি থানায় রীতিমতো উত্তেজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি সুদাম পণ্ডিত সহ একঝাঁক শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে রাজ্য স্তরের নেতারাও পৌঁছোন কোতোয়ালি থানায়। বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং র্যাফ এসে পৌঁছোয় থানাতে।
অন্যদিকে বিজেপির তরফে ঘটনায় কোতোয়ালি থানার আইসি’র প্রতি ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্য করে স্লোগান দেওয়া হয় যে, “কোতোয়ালি থানার আইসিকে ধন্যবাদ যে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে জেলে ঢুকিয়েছে।” তাদের আরও কটাক্ষ, “রাজ্য সরকার ডিএ দেয়নি বলেই, মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশও প্রতীকি প্রতিবাদ জানিয়েছেন।”