শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপি নেতা এবং সাংসদ দিলীপ ঘোষ। অন্যান্য সময়ের মতোই রাজ্য সরকার এবং শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগ্রে দেন তিনি। একই সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
এখন ট্রেলার দেখিয়ে গেলাম, ৩ মাস পর সিনেমা দেখাব: অভিষেক
এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কে ট্রেলার বা টিজার দেখাল, তাতে বাংলার মানুষের কী যায় আসে? আসল সিনেমা তো সিবিআই-ইডি দেখাচ্ছে। আগে ওটা সামলান। এ ওকে চ্যালেঞ্জ করছে। ও তাকে চ্যালেঞ্জ করছে। আর বাংলা ডুবছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রশাসন, মানুষের নিরাপত্তা, সব ডুবে গেছে। বাড়ি থেকে বেরোলে চিন্তা করতে হয় ফিরে আসতে পারব কিনা। সাড়া রাজ্যের পুলিস দিয়ে এমন একটা লোককে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে, যার কোনো গুরুত্বই নেই। হতে পারে ও হয়তো পার্টির ভবিষ্যৎ। কিন্তু বাংলার ভবিষ্যৎ কি?’
ওদের হাতে ইডি সিবিআই মোদী আছে, আমাদের হাতে মানুষ আছে: অভিষেক
তিনি বলেন, ‘কোথায় মানুষ আছে? তাহলে বিধায়ক ভাঙিয়ে নিয়ে আসতে হচ্ছে কেন? মানুষ অন্যদিকে আছে। তাদের রায়কে না মেনে আপনারা কাজ করছেন। মানুষ আপনাদের সঙ্গে নেই। তাই জঙ্গলমহলে চোর চোর শ্লোগান শুনতে হয়েছে’।
এখনই নন্দিগ্রামে ভোট হলে ৫০ হাজার ভোটে জিতব: অভিষেক
দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘তখন জিতলেন না কেন? মূল ইলেকশনে জিততে পারলেন না। বাই ইলেকশনে জিতবেন? এমনি ভোট হলে ওখানে আপনারা হারেন। আপনারা ভোট লুঠ করলে জেতেন। তখন ফুটানি মেরে ওখানে কে যেতে বলেছিল? ঘুরে ফিরে পুনর্মূষিক ভব হয়ে সেই তো ভবানীপুরে এসে জিততে হল। কেন লাফালাফি করতে গেছিলেন নন্দীগ্রামে? মেদিনীপুরের লোক আয়না দেখিয়ে দিয়েছে তো’।
বিজেপির মেয়াদ আর ১ বছর: অভিষেক
তিনি জানিয়েছেন, ‘বিজেপির মেয়াদ সারা দেশের লোক দেখছে। আপনাদের কি হবে? সারা দেশে টাকার থলি নিয়ে ঘুরে কিছু বুড়ো হাবড়া নেতাকে নিয়ে এসেছিলেন। ফেলেইরো কে টাকা দিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। রাজ্যসভায় পাঠালেন। উনি ইস্তফা দিয়ে বললেন, আমার টাকা ফেরত দাও। আমি থাকব না। এই তো আপনাদের দলের রেপুটেশন। সারা দেশ থেকে গুটিয়ে কালীঘাটে ঢুকে গেছেন। তাই ওসব ডায়লগ দেবেন না’।
গোষ্ঠ পালের মূর্তির নিচে ফুটবল খেললেন মমতা ব্যানার্জি
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘একজন মহাসচিব ফুটবল খেলতে গিয়ে ভিতরে ঢুকে গেছেন। এই খেলাধুলা করবেন না। কাটমানি নিয়ে যে খেলাধুলা করছেন, সেটাই করুন। আপনাকে লোক ওই জন্যই চেনে। কাল হঠাৎ দেখলাম, দিনের বেলা মোমবাতি জ্বালিয়েছে। আমরা একটা কবিতা পড়েছিলাম, যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি…’
তিনি আরও বলেন, ‘বাকিটা আর বললাম না। অর্থাৎ এর পরিণতি কী, বুঝে নিন। কুস্তিগীরদের আন্দোলনের কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। আন্দোলনজীবীরা বলল মেডেল জলে ভাসিয়ে দেব। মেডেল দিয়ে দিল টিকায়েত ও তার ভাই কে। যত দেশ বিরোধি, দেশদ্রোহী কাজ, মোদীকে বদনাম করার জন্য যারা এক জায়গায় হয়েছে, মমতা ব্যানার্জি তাদের নেতা হতে চাইছেন। আপনি একটা কুস্তিগীর তৈরি করে দেখান না। এই রাজ্যে কোনো ন্যাশনাল প্লেয়ার নেই। আপনি খেলাটাকেও শ্মশানে পরিণত করেছেন। স্টেডিয়ামকে সাট্টার জায়গা বানিয়ে দিয়েছেন। এখানে মিছিল করে কোনো লাভ হবে না’।
মদন, সৌগত, অর্জুন কে নিয়ে আজ ড্যামেজ কন্ট্রোল বৈঠকে তাপস রায়
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তাপস রায়কে নিয়ে কে বসবে? উনি যা বলছেন, তার ড্যামেজ কন্ট্রোল কে করবে? গোটা দলে বিক্ষোভ ফুটছে। বলছে দরজা খুললে সবাই ঢুকবে। কেউ ঢুকবে না। সবাই বেরিয়ে যাবে’।
শুভেন্দুকে বাড়ি থেকে বেরোতে দেব না: অভিষেক
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘হাতে পুলিস আছে। বাড়ির সামনে লাগিয়ে দিন। আমাকেও এভাবে আটকানো হয়েছে বহুবার। পাবলিক এবার আপনাদের আটকাবে’।
নন্দীগ্রাম গদ্দারদের মাটি নয়: অভিষেক
তিনি বলেন, ‘জানি তো আমরা। কারা গদ্দার? কারা মিরজাফর? কারা বাইরে থেকে লোক এনে ওখানে মারপিট করিয়েছিল? উনি তো তখন ওখানেই ছিলেন। দোষ দেবেন কাকে? গদ্দারি আপনাদের রক্তে। সারাজীবন কংগ্রেস থেকে সব পেয়ে কংগ্রেস কে লাথি মেরেছেন। বাংলার লোক সেকথা ভোলে নি’।
ইডির নতুন ডিরেকটর
তিনি বলেন, ‘এতো বড় বড় কেস। দেশে দুর্নীতিতে এগিয়ে বাংলা। ঐতিহাসিক স্ক্যাম। এতো বড় কেস। তাই এফিশিয়েন্ট অফিসার পাঠিয়েছে’।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার এর নাম রাজ্যপালকে পাঠাতে গড়িমসি
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কোনও সিস্টেম মানেন না। গা-জোয়ারি করেন। এই অভ্যাস পাল্টাতে হবে। এর বিরুদ্ধে গেলেই রাজ্যপাল হয়ে যাবেন বিজেপির লোক?’
আধা অনশনে কাকু
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এতো পয়সা খেয়েছেন। আবার কি খাবেন? সব নেতার এক অবস্থা। ভিতরে গেলেই খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেন। খিদে পাবে তবে তো খাবেন’।