বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ডানার জন্য প্রহর গুনছে বাংলা। কলকাতা সহ রাজ্যের আটটি জেলায় গত মঙ্গলবার থেকেই চরম সর্তকতা শুরু করেছে রাজ্য থেকে জেলা প্রশাসন। বাংলার পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশায় আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ডানা। তবে শুধু ওড়িশা নয় ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বঙ্গোপসাগর সমুদ্র সৈকতের জেলা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। গত মঙ্গলবার থেকেই পূর্ব মেদনীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকত দিঘায় আগত পর্যটকদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে হোটেল বুকিং- এর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। কাঁথি, এগরা, রামনগর সহ সমুদ্র সৈকতের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে প্রায় ২ লক্ষ মানুষকে নির্দিষ্ট জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এবং সেই স্কুলগুলিতেই আপদকালীন রেসকিউ সেন্টার তৈরি করা হয়েছে।
জেলার একাধিক বিডিও’দের এই আশ্রয়স্থলগুলি দেখাশোনা করার দায়িত্বে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। বুধবার সকাল থেকে এন ডি আর এফ- এর বিশাল টিম নামানো হয়েছে দিঘা সমুদ্র সৈকতজুড়ে। মাইকিং- এর পাশাপাশি আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন এমডিআরএফ- এর বিশাল দল। পাশাপাশি এসডিআরএফ-এর টিম নামানোর কথা গত মঙ্গলবারই ঘোষণা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডানা মোকাবিলার জন্য সম্পূর্ণরূপে তৈরি রয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে বিগত কয়েক বছরের একাধিক অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের মধ্যে।