সপ্তাহান্তে কলকাতা থেকে পাঁচ বন্ধু মিলে ঘুরতে এসেছিলেন দিঘায়। সেখানে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সকলের অগোচরে উত্তাল সমুদ্রে নেমে তলিয়ে গেলেন টালিগঞ্জের এক প্রৌঢ়। রবিবার বেলার দিকে পুরনো দিঘার সি হক ঘাটের কাছে এই ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত পর্যটকের নাম কল্যাণ দাস। বয়স ৪৮।
পুলিশ সূত্রে খবর, কল্যাণ পেশায় ব্যবসায়ী। শনিবার টালিগঞ্জের বাসিন্দা কল্যাণ ও তাঁর চার বন্ধু মিলে দিঘায় বেড়াতে এসেছিলেন। বেলার দিকে উত্তাল সমুদ্র দেখতে তাঁরা সমুদ্রের পাড়ে বাঁধানো ঘাটে বসে গল্পগুজব করছিলেন। এমন সময় হঠাৎই বন্ধুদের চোখে এড়িয়ে সমুদ্রে নেমে যান কল্যাণ। বেশি দূর এগোতেই পারেননি তিনি। তার আগেই তীব্র স্রোতে তলিয়ে যান। দূর থেকে বন্ধুদের চিৎকার শুনে ওই সময় আশপাশে থাকা নুলিয়ারাও জলে ঝাঁপ দেন। কল্যাণকে উদ্ধার করে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
কল্যাণের বন্ধু গৌরব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা সবাই বেঞ্চে বসেছিলাম। কল্যাণ কখন সমুদ্রে চলে গেল, আমরা কেউই খেয়াল করিনি প্রথমে। ওকে জলে ডুবতে দেখে আমরা সবাই চিৎকার করছিলাম। আমাদের চিৎকার শুনেই নুলিয়ারা জলে নেমে ওকে উদ্ধার করল ঠিকই। কিন্তু বাঁচানো গেল না বন্ধুকে।’’
প্রসঙ্গত, শনিবার থেকে সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করে একটানা মাইকিং চলছে দিঘায়। উপকূল এলাকায় নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ার জেরেই ৮-১১ অগস্ট পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে মৎস্য শিকারেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। আবহাওয়া খারাপ থাকায় সমুদ্র আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে বলে এই নিষেধা়জ্ঞা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তার পরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে গেল দিঘায়।