বগটুইকাণ্ডের জেরে ইতিমধ্যে একাধিক পুলিশ কর্তা ও পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অপসারিত করা হয়েছে রামপুরহাটের এসডিপিও সায়ন আহমেদকেও। এদিকে অপসারিত সেই এসডিপিওকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে খবর, অপসারিত এসডিপিও তদন্তকারী আধিকারিকদের জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর পেয়ে তিনি বাগটুই গ্রামে সেই রাতেই গিয়েছিলেন। আগুন নেভানোর কাজে তদারকিও করেছিলেন। আর এখানেই প্রশ্ন বাগটুইকাণ্ডের পরে পুলিশ একটি স্বতপ্রণোদিত মামলা করেছিলেন। সেই এফআইআরে কোথাও এসডিপিওর উপস্থিতির কথা উল্লেখ করা নেই। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে কেন পুলিশের এফআইআরে নাম নেই তৎকালীন এসডিপিওর।
সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে তবে কি ইচ্ছাকৃতভাবেই এসডিপিওর উপস্থিতির কথা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। নাকি এখানেও গাফিলতি? সত্যি কি সেই রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এসডিপিও? এক্ষেত্রে সব সূত্রকে মিলিয়ে একটা নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে সমস্ত খুঁটিনাটি মিলিয়ে দেখতে চাইছেন। ইতিমধ্যেই একাধিক পুলিশ আধিকারিককেও এনিয়ে জেরা করা হয়েছে। সেই রাতের প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকেও বয়ান নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের সর্টসার্কিটের তত্ত্ব যে শেষ পর্যন্ত ধোপে টিকছে না তা বলাই বাহুল্য।