ইরানে পাল্টা হামলা চালানোর আগে কি আমেরিকার সঙ্গে পরামর্শ করেছিল পাকিস্তান? এই প্রশ্নের জবাব যদিও বৃহস্পতিবার এড়িয়ে গিয়েছে আমেরিকা।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, আমেরিকার পরামর্শেই ইরানে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। সেই প্রশ্ন করা হলে বৃহস্পতিবারের সাংবাদিক বৈঠকে আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘‘আমার এই বিষয়ে বলার মতো কোনও তথ্য নেই।’’ মিলার এ-ও জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলে যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সে বিষয়ে খোঁজ রেখেছে আমেরিকা। উভয় পক্ষকেই নিয়ন্ত্রণে থাকার আর্জি জানানো হয়েছে। তারা মনে করে, বিষয়টি আর জটিল না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সরকার যে বলেছে, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা গুরুত্বপূর্ণ, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে আমেরিকা।
ইরান এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে, তাকে কী ভাবে দেখছে আমেরিকা? সেই প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘‘এই অঞ্চলে যে ভাবে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার উপর নজর রেখেছে আমেরিকা। এই কথা আমরা বার বার বলেছি। ৭ অক্টোবর থেকেই বিষয়টিতে নজর রেখেছি।’’ সে কারণে আমেরিকা কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে বলেও জানিয়েছেন মিলার। পাশাপাশি ইরানকেও একহাত নিয়েছেন মিলার। তাঁর দাবি, ইরান হামাসের বড় সমর্থক হেজবোল্লা জঙ্গি গোষ্ঠীকে অর্থ জোগায়। তাঁর কথায়, ‘‘ইরানের হামলার বিষয়ে কী ভাবছি, তা আগেই স্পষ্ট করেছি। গত তিন দিনে শুধু তিন প্রতিবেশী দেশের উপর হামলা চালায়নি, দীর্ঘ দিন ধরে এরা সন্ত্রাসে অনুদান জোগায়, পশ্চিম এশিয়ায় স্থিতাবস্থা নষ্ট করে। গাজ়ার সংঘর্ষেও হাত রয়েছে তাদের।’’
গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের বালুচিস্তানে জঙ্গি সংগঠন জইশ আল অদলের ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালায় ইরান। তেহরান জানায়, হামলার লক্ষ্য ছিল জঙ্গি সংগঠন জইশ অল অদল বা ‘আর্মি অফ জাস্টিস’-এর ঘাঁটি। ইরানের দাবি, এই জঙ্গি সংগঠন তাদের মাটিতে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। এর পরেই সক্রিয় হয় ইসলামাবাদ। তারা বৃহস্পতিবার ইরানে পাল্টা হামলা চালায়। পাকিস্তানের হামলায় ইরানে শিশু-সহ অন্তত ন’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি। ইরানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাক হামলায় নিহতদের ‘নিজের লোক’ বলে দাবি করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করে ফেলেছে।