Dhupguri By-poll: ধূপগুড়িতে উপনির্বাচন, কড়া নিরাপত্তায় চলছে ভোটগ্রহণ, ইভিএম খারাপ ২ বুথে

বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুতে ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে আজ উপনির্বাচন। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে চলছে ভোটগ্রহণ। বুথে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটগ্রহণ ঘিরে আঁটসাট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ চলবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। এখনও পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই চলছে ভোটগ্রহণ। শুধু ২টি কেন্দ্রে ইভিএম খারাপ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। ধুপগুড়ি কালিরহাট ১১২ নম্বর বুথের মেশিন খারাপ। ওদিকে ধূপগুড়ির বৈরাতি গুড়ির ১৫/১৮২ নম্বর বুথে ইভিএম খারাপ। মোট বুথের সংখ্যা ২৬০। তার মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ ৭২। ধূপগুড়ি কেন্দ্রে মোট ভোটার ২,৬৯,৪১৬ জন। এদিন ভোট করাচ্ছেন মোট ১২০০ জন ভোটকর্মী। ভোটে ব্যবহার করা হচ্ছে ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের মিতালি রায়। কিন্তু, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে মিতালিকে হারিয়ে জেতেন বিজেপির বিষ্ণুপ্রসাদ রায়। তাঁর মৃত্যুতেই ফের নির্বাচন জরুরি হয়ে পড়ে ধূপগুড়ি কেন্দ্রে। উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়িয়েছেন ড. নির্মলচন্দ্র রায়। ওদিকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাপসী রায়। ভোটগ্রহণ শুরু হতেই সকাল সকাল ভোট দিলেন তৃণমূল এবং বিজেপি প্রার্থী দুজনেই। সাতসকালে সস্ত্রীক ভোট দিতে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ড. নির্মলচন্দ্র রায়। ওদিকে সিপিআইএম-এর হয়ে ভোটে প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়।

তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ড. নির্মলচন্দ্র রায় ধূপগুড়িতে থাকলেও, মঙ্গলবার সকাল সকাল নিজের আদি বাড়িতে পৌঁছে প্রথমে “মা” কে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেন। ঠাকুরঘরে মাথা ঠেকিয়ে তারপর নিজের বুথে পৌঁছে যান নির্মলবাবু। ঝাড়আলতা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বামনটারি অ্যাডিশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৫/৬৯ নম্বর বুথে ভোট দেন তিনি। ভোট দিয়ে বেরিয়ে নিজের জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত বলে জানান তিনি। ভোট দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়ও। বিভিন্ন বুথেই লাইন ভোটারদের লাইন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

এর পাশাপাশি, আজ ভোট দিতে বাড়ি ফিরেছে অনেক পরিযায়ী শ্রমিকও। এদিন সাত সকালে লক্ষ্য করা গেল ধূপগুড়ির চৌপথিতে বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিককে। এরা কেউ বিহার, কেউ  আবার গৌহাটি থেকে ধূপগুড়িতে গ্রামের বাড়িতে ফিরছেন। তাঁরা জানান, যেহেতু ভোট তাই তাঁরা ভোট দিতেই এসেছেন। তাঁরা বলেন, এখানে কাজ নেই। তাই বাধ্য হয়েই ভিন রাজ্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। এখানে কর্ম সংস্থানের দাবি জানান তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.