ক্রিকেটে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে অধিনায়ক বা সংশ্লিষ্ট ব্যাটার রিভিউ নিতে পারেন। প্রযুক্তির মাধ্যমে দেখে নেওয়া হয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত যথাযথ কিনা। এই ব্যবস্থাকে বলা হয় ‘ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম’ বা ‘ডিআরএস’। অনেকেই এর নাম দিয়েছেন ‘ধোনি রিভিউ সিস্টেম’। ভারতের অন্যতম সেরা আম্পায়ার অনিল চৌধুরিও এই নামে সায় দিয়েছেন।
অনেক সময়ই দেখা যায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পেরে ক্রিকেটারেরা ডিআরএস নষ্ট করেন। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হলে ‘ডিআরএস’র আবেদন করেন না। সিংহভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তিনিই ঠিক।
ধোনির খেলা বহু ম্যাচে মাঠে আম্পায়ারের দায়িত্ব সামলেছেন অনিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকে ভারতের অভিজ্ঞ আম্পায়ার বলেছেন, ‘ডিআরএস’ নেওয়ার ক্ষেত্রে ধোনি খুব নিখুঁত। তাই ভাল করে খতিয়ে না দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। তিনি বলেছেন, ‘‘উইকেটরক্ষকেরা যে জায়গায় দাঁড়ায় সেখান থেকে বোলারের অবস্থান সব সময় ঠিক মতো বোঝা যায় না। তবু ধোনির আবেদনগুলো বেশ যুক্তিসঙ্গত হয়। চাপের সময়ও ধোনির অনুমান খুব একটা ভুল হয় না। ডিআরএস নেওয়ার ক্ষেত্রে ও খুব নিখুঁত। বলা যায় প্রায় নিখুঁত। তাই ‘ডিআরএস’কে ‘ধোনি রিভিউ সিস্টেম’ বলা যায়।’’
আইপিএলের বহু ম্যাচে ধোনিকে চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক হিসাবে পেয়েছেন অনিল। তাঁর বিশ্লেষণ, এক জন ব্যাটারের পক্ষে রিভিউ নেওয়া তুলনায় সহজ। কিন্তু এক জন অধিনায়ক যে আবার উইকেটরক্ষক, তার পক্ষে বেশ কঠিন। তবু দুরন্ত ক্রিকেট মস্তিষ্ক কাজে লাগিয়ে দক্ষতার সঙ্গে ‘ডিআরএস’ নেন ধোনি। দু’টি বিশ্বকাপজয়ী ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের এই দক্ষতাকে কুর্নিশ জানিয়ে ‘ধোনি রিভিউ সিস্টেম’ বলেছেন অনিল।