গোটা রাত থেকে ভোর পর্যন্ত তোলপাড় হয়ে গেল ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর। তখনও বোঝা যাচ্ছে না কি হয়েছে! পরে জানা গেল, এখানে বোমা রাখা রয়েছে বলে খবর মিলেছে। তার জন্যই তোলপাড় বিমানবন্দর। আফগানিস্তানে তালিবান শাসন শুরু হতেই বাংলাদেশ সবক্ষেত্রে বাড়তি নিরাপত্তা নিয়ে চলেছে। সেখানে এই বোমাতঙ্কের খবরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী খবর মিলেছিল? এদিন মালয়েশিয়া থেকে ঢাকাগামী একটি বিমানে বোমা রাখা রয়েছে বলে খবর মিলেছিল। এই খবর পেয়েছিলেন বাংলাদেশের নিরাপত্তারক্ষীরা। তাই বুধবার রাত থেকে চিরুনী তল্লাশি শুরু করে নিরাপত্তারক্ষীরা। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করে নিরাপত্তা বাহিনী। নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে খবর এসেছিল, পাকিস্তানের দুই নাগরিক মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ওই বিমানে বোমা নিয়ে আসছেন। আর তাতেই তোলপাড় হয়ে যায়।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
জানা গিয়েছে, কুয়ালালামপুর থেকে ওই বিমানটি বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তখনই ঝাঁপিয়ে পড়েন নিরাপত্তারক্ষীরা। শুরু হয় যাত্রী থেকে বিমানে জোরদার তল্লাশি। সেখানে পৌঁছে যায় বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা। এই বিষয়ে র্যাবের কর্নেল কে এম আজাদ বলেন, ‘বিমানটি কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হতেই আমাদের কাছে খবর আসে, দুই যাত্রী বোমা আনছেন। তাই তখনই সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়।’
এই খবরেই রাত থেকে প্রায় ভোরের আলো ফোটার আগে পর্যন্ত ওই বিমানে তল্লাশি চালানো হয়। যদিও তল্লাশির পর কোনও বোমা পাওয়া যায়নি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, একটি খবরের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা হয়েছে। বিমানে যাত্রী ছিলেন ১৩৫ জন। তাঁদের জীবনের স্বার্থে তল্লাশিতে জোর দেওয়া হয়েছিল। যাত্রীদের পাশাপাশি কেবিন–সহ সর্বত্র তল্লাশি করা হয়েছে। কোথাও বোমা পাওয়া যায়নি।