৩৫ বছর বয়সি লরা সিম্পসন। পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে যাচ্ছিলেন ভূমধ্যসাগরের মেনোর্কা দ্বীপে। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছে দেখেন তাঁর স্যুটকেস নেই। স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তিত হয়ে পড়েন তিনি। যে বিমানে চেপে এসেছিলেন, সেই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন লরা। ওই বিমান সংস্থার তরফে তাঁকে জানানো হয়, স্যুটকেসটি নাকি ইতিমধ্যে বর্তমান ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দু’-এক দিনের মধ্যেই তা পৌঁছে যাবে।
দু’দিন পেরিয়ে গেলেও সেই ব্যাগ হাতে পাননি লরা। এ দিকে ছুটির মেয়াদও কমে আসছিল। তাই এক প্রকার ব্যাগের আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। হঠাৎ নেটমাধ্যমে একটি নিবন্ধ তাঁর নজরে আসে। লেখাটির সঙ্গে থাকা একটি ছবিতে সারিবদ্ধ ব্যাগের ভিড়ে নিজের স্যুটকেসটি দেখতে পান। বুঝতে পারেন, বিমান কর্তৃপক্ষ তাঁকে মিথ্যা বলেছেন। সঙ্গে সঙ্গে নিজেই পৌঁছে গিয়ে ব্যাগটি সংগ্রহ করেন। লরা হাঁপানির রোগী। ইনহেলার এবং ওষুধ হারিয়ে যাওয়া ব্যাগটির মধ্যে রয়ে গিয়েছিল। লরা বলেন, ‘‘বিমান কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তাঁরা ততটাও গুরুত্ব দিয়ে পুরো বিষয়টি দেখেননি। দেখলে এত ঝক্কি হতো না।’’
ব্যাগটি ফিরে না পেলে তাঁকে যে বেশ সমস্যায় পড়তে হতো তা-ও জানিয়েছেন লরা। ইনহেলার, ওষুধ ছাড়াও প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্ ছিল সেই ব্যাগে।
বিমান সংস্থা অবশ্য গাফিলতির অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, কোনও যাত্রী অসুবিধায় পড়ুক তা কাম্য নয়। বেশি সময় লাগছিল হয়তো। তবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, এমন নয়। কেন এমন হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।