অগ্নিকাণ্ডের জেরে এবার আতঙ্ক ছড়াল মহেশতলায়। বিধ্বংসী আগুন লাগল রাসায়নিক কারখানায়। পরপর দু’টি রাসায়নিকের ড্রামে বিস্ফোরণ হাওয়ায়, আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে গেল গোটা কারখানা। গোটা এলাকায় কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকলের ৬টি ইঞ্জিন উপস্থিত হয়েছে। এলাকায় জলাশয় না থাকার কারণে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত ৫ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে মহেশতলা থানার পুলিশ। ওই এলাকার অন্যান্য কারখানা থেকে কর্মীদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ ওই কারখানায় আটকে পড়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার বেলা ১ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে মহেশতলা থানা এলাকার মুখার্জি গেট সংলগ্ন পালান ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় বিভিন্ন সংস্থার কারখানা রয়েছে। তার মধ্যে একাধিক রাসায়নিক কারখানাও রয়েছে। প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুদ রয়েছে কারখানাগুলোতে। পাখা তৈরির, নারকেল তেলের কারখানাও রয়েছে। সেকারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দমকলকর্মীরা চেষ্টা করছেন যাতে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
ওই ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের অন্যান্য কারখানার কর্মীরা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় যে কারখানাটিতে আগুন লেগেছে, সেখানে স্যানিটাইজার তৈরীর কাজ হয়। এদিন বেলার দিকে প্রথমে ওই কারখানার মধ্যে থাকা রাসায়নিক ভর্তি দু’টি ড্রামে পর পর প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ হয়। তারপর কারখানার মধ্যে বিপুল পরিমাণে রসায়নিক মজুদ থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে গোটা কারখানাটি। কালো ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা এলাকা। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা খবর দেন দমকল ও থানায়। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দমকলকর্মীরা। তবে ওই এলাকায় কোনও জালাশয় না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। তবে শেষ পাওয়া খবরে অনুযায়ী জানা গিয়েছে, আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, যতক্ষণ না আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব নয়। তবে কী কারণে আগুন লাগল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।