লাইনচ্যুত মালগাড়ি, ২০টি এক্সপ্রেস ট্রেনের গতিপথ বদল রেলের, তালিকায় হাওড়ার ট্রেনও

মহারাষ্ট্রে মালগাড়ি লাইনচ্যুত। যার ফলে অন্তত ২০টি এক্সপ্রেস ট্রেনের গতিপথ বদল করা হয়েছে। চারটি ট্রেনের গতিপথ সংক্ষিপ্ত করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ। এর ফলে ট্রেনগুলির গন্তব্যে পৌঁছনোর সময়ে হেরফের হতে পারে।

রবিবার রাতে মহারাষ্ট্রের কসারা স্টেশনের সামনে একটি মালগাড়ির দু’টি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এর ফলে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই।

মধ্যরেলের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাতের এই ঘটনার ফলে কসারা থেকে ইগতপুরী ডাউন এবং মিড্‌ল লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। ইগতপুরী-কসারা আপ লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। যে ২০টি ট্রেনের গতিপথ এর কারণে বদলাতে হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে হাওড়ার ট্রেনও। রেল জানিয়েছে, মুম্বই নান্দেদ এক্সপ্রেস, গোন্দিয়া এক্সপ্রেস, ফিরোজ়পুর পঞ্জাব মেল এক্সপ্রেস, নাগপুর দুরন্ত এক্সপ্রেস, অমরাবতী এক্সপ্রেস, মুম্বই-হাওড়া এক্সপ্রেস (নাগপুর দিয়ে), সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস, মুম্বই-হাওড়া মেল এক্সপ্রেস (গয়া দিয়ে), মুম্বই-শালিমার এক্সপ্রেস, বারাণসী এক্সপ্রেস, পাটলীপুত্র এক্সপ্রেস, অমৃতসর এক্সপ্রেস, চারটি গোরখপুর এক্সপ্রেস, হরিদ্বার এক্সপ্রেস, বারাণসী এক্সপ্রেস এবং হাওড়া গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসের গতিপথ পরিবর্তিত হয়েছে। ঘুরপথে গন্তব্যে পৌঁছবে এই ট্রেনগুলি। ফলে পৌঁছতে সময় বেশি লাগতে পারে।

এ ছাড়া, চারটি ট্রেনের গতিপথ সংক্ষিপ্ত করতে হয়েছে। সেগুলি হল— ১২২৬২ হাওড়া-দুরন্ত এক্সপ্রেস, ১১৪০১ আদিলাবাদ-নন্দীগ্রাম এক্সপ্রেস, প্রতাপগড় এক্সপ্রেস এবং মনমাড়-মুম্বই পঞ্চবটী এক্সপ্রেস। এই ট্রেনগুলি কসারায় দুর্ঘটনার কারণে আটকে পড়ে। যদিও পরে রেলের তরফে জানানো হয়, মিড্‌ল লাইনের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় সেখান দিয়ে আবার পরিষেবা স্বাভাবিক করা গিয়েছে। আদিলাবাদ-নন্দীগ্রাম এক্সপ্রেস রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ সেখান থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়।

এই দুর্ঘটনার প্রভাব পড়েছে সোমবারের পরিষেবাতেও। মধ্য রেল জানিয়েছে, পাঁচটি ট্রেন সোমবার বাতিল করা হয়েছে। কী ভাবে মালগাড়ির কামরা লাইনচ্যুত হল, তা খতিয়ে দেখতে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করবেল রেল কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.