‘বিশ্বের শাসনব্যবস্থাকে পথ দেখানো উচিত গণতান্ত্রিক নীতিগুলির।’ রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের আয়োজিত গণতন্ত্রের শীর্ষ সম্মেলনে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি মোদী এই সম্মেলনে বলেন, ‘প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে উন্মুক্ত এবং গণতান্ত্রিক সমাজ সংরক্ষণে অবদান রাখতে হবে।’
গণতন্ত্র নিয়ে বাইডেনের আয়োজিত এই সামিটে নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি ছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নেতারা। মোদীর কথায়, ভারতীয় গণতান্ত্রিক শাসনের চারটি স্তম্ভ হল – সংবেদনশীলতা, জবাবদিহি, অংশগ্রহণ এবং সংস্কার। প্রধানমন্ত্রী জানান, ৭৫ বছর আগে ৯ ডিসেম্বরের দিনই স্বাধীন ভারতের গণপরিষদে প্রথম অধিবেশন আয়োজিত হয়েছিল। মোদী সহ বিশ্বের মোট ১২টি দেশের শীর্ষনেতারা গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা নিয়ে বক্তব্য রাখেন বাইডেনের ডাকা এই সম্মেলনে।
ভার্চুয়াল এই সম্মেলনে মোদী বলেন, ‘বিশ্ব শাসনব্যবস্থার ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক নীতিগুলির বিশেষ ভূমিকা থাকা উচিত। প্রযুক্তি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে উন্মুক্ত এবং গণতান্ত্রিক সমাজ সংরক্ষণে অবদান রাখতে হবে।’ গণতান্ত্রিক দেশগুলির সংবিধানে উল্লেখিত মূল্যবোধ বাস্তবায়িত করার উপর জোর দেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্রের ধারণার অন্যতম উৎস ভারতীয় সভ্যতার আচার-বিচার। ভারতীয়দের মধ্যে অনেক আগে থেকেই রয়েছে গণতান্ত্রিক চেতনা। রয়েছে আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং বহুত্ববাদী আচার। প্রবাসী ভারতীয়রাও এই চেতনাকে অনুসরণ করেন। সেই কারণে ভিন দেশের সমাজ কল্যাণ ও সম্প্রীতিতেও এর প্রভাব দেখা যায়।’
সম্মেলনের পর মোদী নিজে টুইট করে লেখেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমন্ত্রণে সামিট ফর ডেমোক্রেসিতে অংশ নিতে পেরে আমি খুশি৷ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসাবে, বহুপাক্ষিক ফোরাম সহ বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে শক্তিশালী করতে আমাদের অংশীদারদের সাথে কাজ করতে ভারত প্রস্তুত৷’