‘গণতন্ত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতকে প্রাধান্য’, সমর্থনই শেষ কথা, পঞ্চায়েত নিয়ে সুপ্রিম পর্যবেক্ষণ

নির্বাচনে জিতলে পাঁচ বছর পদে থাকা নিয়ম হলেও গণতন্ত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতকে প্রাধান্য দিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পঞ্চায়েত সমিতির প্রধান পদ ধরে রাখা নিয়ে সাউ সঙ্গীতা বনাম মহারাষ্ট্র সরকারের মামলায় এমনই বিশেষ পর্যবেক্ষণ দিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চের মত, কোনও প্রার্থী সমর্থন হারালে তিনি তখন দলের কাছেও অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েন।

উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের পঞ্চায়েত সমিতির নেতা হিসেবে সাউ সঙ্গীতাকে সরিয়ে বন্দনা ধ্যানেশ্বর মুরকুটেকে বসিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার। এই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বম্বে হাই কোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চে মামলা করেছিলেন সঙ্গীতা। রায় তাঁর বিপক্ষে যায়। এরপর বম্বে হাই কোর্টের সেই রায়তে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। বম্বে হাইকোর্টের রায়কে পর্যালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এই ধরনের পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতকে প্রাধান্য দিতে হবে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

২০১৭ সালে শ্রীরামপুরের পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়েছিলেন সাউ সঙ্গীতা। কংগ্রেসের তরফে সঙ্গীতাকে নেতা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু ২০১৯ সালে সঙ্গীতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে তিনি গত আড়াই বছরে দলের সদস্যদের কোনও মতামত গ্রহণ করেননি, এমনকি দলের কোনও বৈঠকও ডাকেননি।

এরপরই ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি আহমেদনগর কংগ্রেস জেলা কমিটির সভাপতির নেতৃত্বে বৈঠকের আয়োজন করে সেখানে দলীয় সদস্যদের মত গ্রহণ করে সাউ সঙ্গীতাকে পঞ্চায়েতের নেতার পদ থেকে সরানো হয়। তাঁ বদলে নেতা করা হয় বন্দনা ধ্যানেশ্বর মুরকুটেকে। সিদ্ধান্তে সম্মতি দেন জেলাসাসক। জেলাশাসকের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই বম্বে হাই কোর্টে আবেদন জানান সাউ সঙ্গীতা। পরে সেই মামলা গড়াল সুপ্রিম কোর্টে।

আবেদনকারীর অভিযোগ, তাঁকে নেতা পদে মোট পাঁচ বছরের জন্যই বসানো হয়েছিল। মেয়াদ পূরণের আগে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে যেই বৈঠকে তাঁকে সরানো হয়েছে তা শুধু নেতাই ডাকতে পারেন। অপরদিকে সরকারপক্ষের যুক্তি, দলের তিন-চতুর্থাংশ সদস্যের সম্মতিতেই আবেদনকারীকে পদ থেকে সরানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.