মঙ্গলবার শ্রীনগর বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার একজন সিনিয়র পাইলট এবং একজন এয়ারক্রাফ্ট রক্ষণাবেক্ষণে দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ারের মধ্যে বাকবিতণ্ডার জেরে দিল্লিগামী একটি ফ্লাইট এক ঘণ্টা দেরিতে টেক-অফ করে। এআই-৮২৬ উড়ানটির টেক-অফ করার কথা ছিল মঙ্গবার ১টা ১০ মিনিটে। যদিও নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পরে সেটি টেক অফ করতে পারে। জানা যায়, পাইলটের নির্দেশ সত্ত্বেও ইঞ্জিনিয়ার নিয়ম না মানায় এই বিলম্ব হয়।
জানা গিয়েছে, এয়ারবাসটি উড়ানোর দায়িত্বে থাকা কমান্ড্যান্ট গ্রাউন্ড স্টাফদের জানান যে বিমানে ১৪০০ কেজি জ্বালানির ভারসাম্যহীনতা রয়েছে (জ্বালানির ভারসাম্যহীনতার মানে হল যে বিমানের দু’টি উইংয়ে জ্বালানী সমানভাবে পৌঁছাচ্ছিল না)। ইঞ্জিনিয়ারকে এই বিষয়টি জানানো হলে কমান্ড্যান্টের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। এর কারণে নিয়ম অনুসারে টেক অফ করার অনুমতি দেননি পাইলট (নিয়ম অনুযায়ী, এমত অবস্থায় বিমান টেক-অফ করতে পারে না)। তবে পাইলট ইন কমান্ড এই সমস্যাটি উত্থাপিত করলেও নাকি ইঞ্জিনিয়াক পাইলটকে জ্বালানি ভারসাম্যহীন অবস্থাতেই বিমানটি গ্রহণ করতে বাধ্য করে। তবে পাইলট তা করতে প্রত্যাখ্যান করেন এবং বিমানের টেক-অফের জন্য জ্বালানীর ভারসাম্য বজায় রাখার উপর জোর দেন।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এয়ারলাইন কর্মকর্তারা বলেন যে জ্বালানীর ভারসাম্য রাখার পরিবর্তে, ইঞ্জিনিয়ার নাকি পাইলটকে বিমানটিতে ‘স্ন্যাগ’ থাকার রিপোর্ট করতে বলে। তা করা হলে ইঞ্জিনিয়ার বিমানটিকে ‘গ্রাউন্ডেড’ ঘোষণা করত। এই ঘটনার প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ মিনিট পরে অন্য এক ইঞ্জিনিয়ার এসে বিমানে জ্বালানী ভারসাম্যের সমস্যা মেটালে দুপুর ২টো ৫ মিনিট নাগাদ বিমানটি শেষমেষ টেক-অফ করে। পাইলট ঘটনাটি এয়ার ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্টকে জানান এবং অভিযোগ করেন যে উক্ত ইঞ্জিনিয়ারের আচরণগত সমস্যা রয়েছে। পাশাপাশি নিজের অভিযোগ পত্রে পাইলট আরও অভিযোগ করেন যে হয়ত বিমানটিকে ইচ্ছে করে ‘গ্রাউন্ডেড’ ঘোষণা করতে চাইছিল। বিষয়টিকে নিরাপত্তা জনিত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে খতিয়ে দেখার আবেদন জানান অভিযোগকারী পাইলট।