দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে নেমে ধরপাকড় করছে পুলিশ, গোয়েন্দারা। তাদের হাতে এসেছে একাধিক ভিডিয়ো ফুটেজ। সে সব বিশ্লেষণ করে, ধৃতদের জেরা করে বার বার উঠে আসছে একটা নাম— আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়। তদন্তকারীদের আতশকাচে হরিয়ানার ফরিদাবাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়। ধৃত তিন চিকিৎসকের সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগও। কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাক জানিয়েছে দিয়েছে, এই আল-ফালাহ্কে কোনও দিন স্বীকৃতিই দেয়নি তারা। ধৃত তিন সন্দেহভাজনের মধ্যে শাহিন সইদ এবং মুজাম্মিল শাকিলকে নিয়োগ করেছিলেন প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ আহম্মেদ সিদ্দিকি। এখন গোয়েন্দাদের নজরে তিনি। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল নিয়ে আলাদা ভাবে তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
ধৃত মুজ়াম্মিল এবং শাহিন শহিদ আল-ফালাহ্ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। শ্রীনগরে জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার সাঁটানোর অভিযোগে ধৃত আদিল মাজ়িদ রাথরের সঙ্গেও যোগ রয়েছে আল-ফালাহ্ মেডিক্যাল কলেজের। তার পরেই তদন্তকারীদের আতশকাচের নীচে ওই বিশ্ববিদ্যালয়। তদন্তকারীদের একটি সূত্র সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছে, আল-ফালাহ্র প্রতিষ্ঠাতা সিদ্দিকির বিরুদ্ধে পুরনো অপরাধের মামলাও রয়েছে। দিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি থানায় দায়ের হয়েছিল সেই মামলা। ৭.৫ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে তিন বছর জেল হয়েছিল সিদ্দিকির। সূত্র বলছে, ২০০১ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে তাঁর জামিন বাতিল হয়। ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি জামিন পান। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি উপদেষ্টা মহম্মদ রাজ়ি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শাকিলকে নিয়োগ নিয়েও তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, নিয়োগের বিষয়টি দেখেন উপাচার্য।
সূত্রের খবর, সিদ্দিকির জন্ম মধ্যপ্রদেশের মউয়ে। ন’টি সংস্থার পরিচালন সমিতিতে রয়েছেন তিনি। এই সংস্থাগুলির সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে যোগ রয়েছে আল-ফালাহ্ দাতব্য ট্রাস্টের। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশির ভাগ সংস্থার ঠিকানা দিল্লির একটি বাড়িতে। যে ন’টি সংস্থার পরিচালন সমিতিতে রয়েছেন সিদ্দিকি, সেগুলির বেশির ভাগই ২০১৯ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। তার পরে হয় সেগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে, নয়তো নিষ্ক্রিয় রয়েছে। সেই সংস্থাগুলি কি ভুয়ো? সেটাই খুঁজে দেখছেন তদন্তকারীরা।
অন্য দিকে, ইডির তদন্তের পাশাপাশি আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেন্সিক অডিটের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনটাই বলছে সরকারি একটি সূত্র। গত সোমবার দিল্লির লালকেল্লায় বিস্ফোরণ হয়। প্রাণ যায় ১৩ জনের। সেই নিয়ে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই বৈঠকের পরেই আল-ফালাহ্র ফরেন্সিক অডিটের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
চালকের আসনে উমর
ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা গেল, দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হুন্ডাই আই২০ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন উমর নবিই। একাধিক সংবাদমাধ্যম তদন্তকারীদের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, গাড়িতে পাওয়া উমরের দেহাংশের সঙ্গে তাঁর মা এবং ভাইয়ের ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার পর তদন্তকারীরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যে, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন চিকিৎসক উমর উন-নবি বা উমর মহম্মদ। দিল্লিতে বিস্ফোরণের পরেই হুন্ডাই আই২০ গাড়িটির নম্বর প্লেটের সূত্র ধরে জনৈক মহম্মদ সলমন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছিল পুলিশ। বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন তাঁরই নামে করা ছিল। পুলিশি জেরায় সলমন জানিয়েছেন, তিনি গাড়িটি পুলওয়ামার এক বাসিন্দাকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। সেই বাসিন্দাই উমর। বিস্ফোরণের আগে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে গাড়ির চালকের আসনে উমরকে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল। যদিও পুলিশ এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানায়নি।
আটক চিকিৎসক
দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় এ বার উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে আরও এক চিকিৎসককে আটক করল সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস)। কানপুরে এক ভাড়াবাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে ওই যুবককে আটক করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দিল্লিকাণ্ডে ধৃত মহিলা চিকিৎসক শাহীন সিদ্দিকীর সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল ধৃত যুবকের। সেই সূত্র ধরেই তাঁর খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত চিকিৎসকের নাম মহম্মদ আরিফ। পড়াশোনা করেছেন হৃদ্রোগবিদ্যা নিয়ে। কানপুরের অশোকনগর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন আরিফ।
নতুন ফুটেজ
দিল্লির লালকেল্লার অদূরে বিস্ফোরণের ঘটনায় এ বার প্রকাশ্যে এল নতুন সিসিটিভি ফুটেজ। জানা গেল, সোমবার সন্ধ্যায়, বিস্ফোরণের ঠিক আগে একটি মসজিদে ঢুকেছিলেন সেই ‘ঘাতক’ গাড়ির চালক উমর উন-নবি। পুরনো দিল্লির ওই চত্বরে হেঁটেও বেড়িয়েছিলেন। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই দৃশ্য (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। ওই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় পুরনো দিল্লির তুর্কমান গেট এলাকার ফৈজ়-ই-ইলাহি মসজিদের দিকে ধীরপায়ে হেঁটে যাচ্ছেন উমর। কোনও দিকে না তাকিয়ে রাস্তা ধরে সোজা হেঁটে যাচ্ছেন তিনি, পরনে কালো পোশাক। মাঝে এক বার মাথা ডান দিকে ঘোরাচ্ছেন, তখনই সিসিটিভিতে তাঁর মুখ ধরা পড়ছে। তার পর ফের সামনে হেঁটে যাচ্ছেন তিনি। তার পর তাঁকে আর দেখা যায়নি। তদন্তকারীদের অনুমান, বিস্ফোরণের আগে ওই মসজিদেই গিয়েছিলেন উমর।
আরও এক গাড়ি
দিল্লির লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একটি গাড়ি ব্যবহার হয়েছিল বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। বুধবার হরিয়ানার খাণ্ডওয়ালি গ্রাম থেকে অন্যতম সন্দেহভাজন উমর-উন-নবির দ্বিতীয় গাড়ি উদ্ধার করা হয়। এ বার আরও একটি গাড়ি নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে। এই নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনটি গাড়ি জড়িত থাকার ব্যাপারে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। অন্য দিকে, দিল্লি বিস্ফোরণে বাড়ল মৃতের সংখ্যা। লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ (এলজেএন) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিস্ফোরণে আহত এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মৃতের সংখ্যা হল ১৩।
নির্দেশ তুরস্ক থেকে
দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে বিদেশি হ্যান্ডলারের যোগ? তদন্তকারীদের একটি সূত্রের দাবি, চিকিৎসক উমর-উন-নবির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সাঙ্কেতিক নাম (কোডনেম) ব্যবহার করা হচ্ছিল। সেই সাঙ্কেতিক নাম চিহ্নিত করা হয়েছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, তদন্তকারীদের এক সূত্রের খবর, ‘উকাসা’— এই সাঙ্কেতিক শব্দের মাধ্যমে নির্দেশ আসছিল উমরের কাছে। ওই সূত্রের আরও দাবি, দিল্লির জঙ্গি মডিউলকে পরিচালনা করা হচ্ছিল ওই সাঙ্কেতিক নাম ব্যবহার করে। আর সেই নির্দেশ আসছিল তুরস্কের এক হ্যান্ডলারের কাছ থেকে। তদন্তকারীদের ওই সূত্রের দাবি, এই ‘উকাসা’ই ফরিদাবাদের আল ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক উমর এবং তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিল। মূলত জইশ-ই-মহম্মদ এবং অনসার গজওয়াত-উল-হিন্দ— এই দুই জঙ্গি সংগঠনের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে উমরদের যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে কাজ করছিল ‘উকাসা’ তথা তুরস্কের হ্যান্ডলার। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি, আরবিতে ‘উকাসা’র অর্থ মাকড়সা বা মাকড়সার জাল। এটি হ্যান্ডলারের আসল নাম নয়। পরিচয় গোপন রাখতেই এই সাঙ্কেতিক নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘরেই ছক
দিল্লিকাণ্ডে হরিয়ানার আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল চিকিৎসক পড়ুয়ার যোগসূত্র মিলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ নম্বর আবাসিক ভবনের একচিলতে এক ঘরে থাকতেন চিকিৎসক মুজ়াম্মিল আহমেদ— দিল্লির বিস্ফোরণকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত। বদ্ধ, স্যাঁতসাঁতে সেই ঘরে প্রায়ই আসর বসত মুজ়াম্মিল ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলত গোপন আলোচনা। ওই ঘরে বসেই নাকি বিস্ফোরণের ছক কষেছিলেন তাঁরা! সেই ‘রুম নম্বর ১৩’ই এখন তদন্তকারীদের আতশকাচের নীচে।
স্বীকৃতি নেই
দিল্লি বিস্ফোরণের পরেই তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়। এ বার সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে কারণ দর্শানোর (শোকজ়) নোটিস পাঠাল ন্যাক (ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিশন কাউন্সিল)। অভিযোগ, নিজেদের ওয়েবসাইটে অনুমোদনের মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ন্যাক তাদের কোনও অনুমোদন দেয়নি। আল-ফালাহ্কে পাঠানো শোকজ় নোটিসে ন্যাক লিখেছে, ‘ওই কলেজ কখনও অ্যাক্রিডিটেশন (স্বীকৃতি)-এর জন্য আবেদন করেনি। তাকে স্বীকৃতি দেয়নি ন্যাক’। তারা আরও জানিয়েছে, ওই কলেজের ওয়েবসাইটে লেখা রয়েছে, ‘আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয় আল-ফালাহ্ দাতব্য ট্রাস্টের উদ্যোগে তৈরি। এর ক্যাম্পাসে তিনটি কলেজ চালানো হয়— আল ফালাহ্ স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (১৯৯৭ সাল থেকে রয়েছে। ন্যাক ‘এ’ গ্রেড দিয়েছে), ব্রাউন হিল কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (২০০৮ সাল থেকে), আল-ফালাহ্ স্কুল অফ এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (২০০৬ সাল থেকে রয়েছে, ‘এ’ গ্রেড দিয়েছে ন্যাক)।’ শোকজ় নোটিসে ন্যাক জানিয়েছে, নিজেদের ওয়েবসাইটে আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া এই তথ্য ‘ভুল’।
ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ছক
দিল্লির লালকেল্লার কাছে হুন্ডাই আই ২০-তে বিস্ফোরণ হয়। তবে শুধু এই গাড়িটিই নয়, বৃহস্পতিবার এনডিটিভি-কে তদন্তকারী সংস্থার এক সূত্রে জানানো হয়েছে, সুজ়ুকি ব্রেজ়া, সুইফ্ট ডিজ়ায়ার, ফোর্ড ইকোস্পোর্ট— এই তিনটি গাড়িতেও বিস্ফোরক বোঝাই করে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। দেশে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটাতে ৩২টি গাড়িকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছিল বলে খবর। সেই তালিকায় ছিল দিল্লির ছ’টি জায়গাও। বিস্ফোরণে ব্যবহৃত আই ২০ গাড়িটি ছাড়াও বাকি তিনটি গাড়িকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি। ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, হামলার জন্য এমন গাড়ি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যেগুলির বহু বার মালিকানা এবং হাতবদল হয়েছে। বিস্ফোরণে ব্যবহৃত আই ২০ গাড়িটি ছাড়াও বাকি তিনটি গাড়িকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি।
মালিকানা বদল
দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হুন্ডাই আই ২০ কেনা হয়েছিল হরিয়ানার এক গাড়ি বিক্রেতার থেকে। বিক্রি হয়েছিল এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকায়! সূত্রের খবর, গত ১১ বছরের এই গাড়ি মোট পাঁচ বার হাত বদল হয়েছিল। তদন্তকারীদের এক সূত্রের দাবি, গত ২৯ অক্টোবর হরিয়ানার আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রেখে গিয়েছিলেন মহম্মদ নামে ব্যক্তি। তবে তিনি ওই গাড়ির মালিক ছিলেন না। ২৯ অক্টোবরই গাড়িটি ওএলএক্সের মাধ্যমে এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকায় কিনেছিলেন জনৈক আমির। এই গাড়ি কিনতে সাহায্য করেছিলেন সোনু নামে এক জন গাড়ি ডিলার। তদন্তকারীরা তাঁকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। জানা গিয়েছে, এই গাড়ি কেনাবেচার জন্য ১০ হাজার টাকা কমিশন পেয়েছিলেন সোনু।
প্রশংসায় মার্কিন বিদেশসচিব
দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে কি? এই প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো জানালেন, তাঁদের তরফ থেকে বিস্ফোরণের তদন্তে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে তিনি ভারতের তদন্তকারী সংস্থাগুলির প্রশংসা করে বলেন, “আমাদের সাহায্যের প্রয়োজন তাদের নেই। তারা খুব ভাল কাজ করছে।”

