দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে রাজধানীতে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করতে রাজি আছে দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকার। সোমবার এক হলফনামায় সুপ্রিম কোর্টকে এই কথাই জানাল কেজরিওয়াল সরকার। তবে দিল্লির পাশাপাশি এনসিআর এলাকার বাকি শহরগুলিতেও লকডাউনের পক্ষে সওয়াল করে দিল্লি সরকার।
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট সোমবার জমা পড়া হলফনামা নিয়ে দিল্লি সরকারকে তিরস্কার করেছে। এই হলফনামার মাধ্যমেই শহরের বায়ুর মান উন্নত করার তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থার বিশদ বিবরণ দেয় সরকার। হলফনামাটি বিবেচনা করার সময় শীর্ষ আদালত বলে যে শুধুমাত্র ‘কৃষকদের ঘাড়ে দোষ চাপানোর জন্য এবং কীভাবে পুরো কারণটি (দূষণ) খড় পোড়ানোর বিষয়ে’ তা তুলে ধরতে এই হলফনামা পেশ করা হয়েছে। আদালত আরও বলে, ‘এই ধরনের অবান্তর অজুহাত আমাদেরকে বাধ্য করবে আপনি যে রাজস্ব আয় করছেন এবং তার থেকে কত টাকা জনপ্রিয়তার স্লোগান প্রচারে ব্যয় করছেন, তার অডিট করতে।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
আদালত এখন কেন্দ্রীয় সরকার এবং দিল্লি সরকারকে একটি রিপোর্ট তৈরি করতে বলেছে যা থেকে বোঝা যাবে যে কোন শিল্পগুলি বন্ধ করা যেতে পারে, কোন যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আনা যেতে পারে এবং কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি বন্ধ করা যেতে পারে। এদিকে আজ থেকে আবারও অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে রাজধানী দিল্লির স্কুলগুলিতে। ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মী ও আধিকারিকরাও। দূষণ পরিস্থিতির উন্নতি করতেই এই পদক্ষএপ নিয়েছে দিল্লি সরকার।
উল্লেখ্য, দিওয়ালির পর থেকেই মাত্রা ছাড়িয়েছে দিল্লির দূষণ। দিল্লি ছাড়াও দূষণে দমবন্ধ অবস্থা হয়েছে রাজধানী শহর লাগোয়া গুরগাঁও, নয়ডা এবং গাজিয়াবাদের। দূষণের ধোঁয়া কার্যত কুয়াশার চাদরে ঢেকে গিয়েছে গোটা দিল্লি। গত এক সপ্তাহ ধরে এই দুরাবস্থা চলছে।